শিরোনাম
◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের ফসফরাস বোমা হামলা

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২৩, ০৭:৩৩ বিকাল
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২৩, ০৭:৩৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাকালুকি হাওরে বৃক্ষ রোপন করে প্রশংসিত কুলাউড়ার এলাইছ মিয়া

হাকালুকি হাওরে করচ গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন কৃষকরা

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার: দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি, এই হাওরের আয়তন ১৮.১১৫ হেক্টর। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাওরে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা এবং সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে হাকালুকির অবস্থান। বিশাল আকৃতির এই হাওরে কৃষক, জেলা ও পর্যটকসহ প্রতিনিয়ত নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ যাতায়াত করেন।

কিন্তু ছায়া নেয়ার মতো কোনো জায়গা কিংবা গাছপালা নেই হাকালুকি হাওরে। সরকারি উদ্যোগেও নির্মাণ করা হয়নি কোনো ঘর। তীব্র রোদে কিংবা ঝড়ে কৃষকদের চরম দূর্ভোগ পুহাতে হয়। বিশেষ করে বোরো মৌসুমে ধান কাটার সময় গ্রীষ্মকালের রোধে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। কিছু সময়ের জন্য ছায়াতে আশ্রয় নেয়ার জন্য কোনো জায়গা ছিলনা সেই বৃহত্তম হাওরে। 

এই বিষয় গুলোকে মাথায় রেখে নিজ উদ্যোগে হাকালুকি হাওরের চালিয়া এলাকায় ২০১৩ সালে একটি করচ গাছ রোপন করেন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভুকশিমইল গ্রামের মো. এলাইছ মিয়া। গাছ রোপনের পর থেকে এটিকে বাঁচানোর জন্য সকাল বিকাল পানি দিয়েছেন তিনি। হাওর বছরের অর্ধেক সময় পানিতে থৈ থৈ থাকে। বৃক্ষ প্রেমী হাজী মো. এলাইছ মিয়া’র নিবিড় তত্ত্বাবধানে এবং পরিশ্রম করে তিনি এই গাছটি বড় করেন। এলাইছ মিয়া পরবর্তীতে হাওরে আরও ৫টি করছ ও ইজল গাছ রোপন করেছেন।

সরেজমিন গেলে দেখা যায়, শুকনা মৌসুমে প্রচন্ড গরমের সময় কৃষক, জেলা ও পর্যটকরা গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নেন। গাছটি কৃষকদের কাছে হাওরের ছাতা হিসেবে পরিচিত। এদিকে বর্ষা মৌসুমে হাওরে ঝড় আসলে জেলেরা নৌকা নিয়ে গাছের পাশে আশ্রয় নেন।

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভুকশিমইল গ্রামের কৃষক গিয়াস মিয়া, ইদই মিয়া ও জিতু মিয়া বলেন, জমিতে কাজ করে এসে আমরা এই গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নেই। গাছের নিচে বসে শান্তিতে ভাত খেতে পারি। গাছটি ছাতার মতো কাজ করছে।

টলি ড্রাইভার ফরিদ মিয়া বলেন, ঝড় তোফান আসলে কিংবা রোধে কাজ করার পর বিশ্রাম নেয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। হাওরের কৃষকরা কাজ করে এখানে এসে আশ্রয় নেন। এ গাছটা আমাদের অনেক উপকারে আসতেছে। সরকারি উদ্যোগে এরকম গাছ লাগানো প্রয়োজন।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, গাছ কৃষকদের অনেক ছায়া দেয়। কাজ করে কৃষকরা গাছের নিচে বসতে পারেন। ব্যক্তি ও সরকারি উদ্যোগে হাওরে এভাবে গাছ লাগানো প্রয়োজন।

বৃক্ষরোপনকারী হাজী মো. এলাইছ মিয়া বলেন, বাড়ি থেকে টলি দিয়ে গাছটি এখানে এনে রোপন করেছি। দিন ও রাতে গাছে পানি দিয়েছি। যার কারণে গাছটি জীবিত হয়ে ঢাল-ফালা দেয়। প্রতিদিন শতশত কৃষক গাছের ছায়াতে বসছেন। এটাই আমার সফলতা। সরকারি উদ্যোগে এরকম গাছ লাগানো প্রয়োজন।

পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মো. মাঈদুল ইসলাম বলেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগে। সামাজিক ও মহৎ কাজে এভাবে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়