শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০২৩, ০২:৪০ দুপুর
আপডেট : ০৩ জুন, ২০২৩, ০২:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার অভিযোগ শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে

নুরনবী সরকার, লালমনিরহাট: হাতীবান্ধা সরকারী আলিমুদ্দিন কলেজের গনিত বিভাগের শিক্ষক কাওলাদ হোসেন ও তার স্ত্রী জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাসনিম আরা মীমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া কলেজ চলাকালীন সময় প্রাইভেট পড়ার অভিযোগও উঠেছে ওই শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।  

প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফারিহা ফানসাব রিসা নামে ওই কলেজের প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী একই কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাসনিম আরা মীমের কাছে প্রাইভেট পড়েন। ওই শিক্ষার্থী অন্য এক শিক্ষকের কাছে গনিত বিষয়েও প্রাইভেট পড়েন। কিন্তু শিক্ষক তাসনিম আরা মীম ওই শিক্ষার্থীকে তার স্বামী গনিত বিভাগের শিক্ষক কাওলাদ হোসেনের কাছেও প্রাইভেট পড়তে চাপ দেন। এতে ওই শিক্ষার্থী ফারিহা ফানসাব রিসা রাজি না হওয়ায় জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তাসনিম আরা মীম গত সোমবার (২৯ মে) তাকে প্রাইভেট কক্ষ থেকে বের করে দেয় এবং অপমানিত করেন।

এ ছাড়া কলেজ চলাকালীন সময় ওই শিক্ষক দম্পতি বাসায় প্রাইভেট পড়ান এতে শিক্ষার্থীরা কলেজ ফাঁকি দিয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী ফারিহা ফানসাব রিসার বড় ভাই রিয়াদ হাসান বিচার চেয়ে গত মঙ্গলবার হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগও করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে ১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কাওলাদ হোসেন বলেন, প্রাইভেট পড়বে না ভালো কথা। তার সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি। যেহেতু অভিযোগ করেছে, সেহেতু তদন্ত হোক।

হাতীবান্ধা সরকারী আলিমুদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, ওই কলেজের আমি সভাপতি তাই কলেজ অধ্যক্ষকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়