মো. অমিত খাঁন, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ): শ্রীনগরে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। একদিকে দিনরাত সমান তালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং অপরদিকে প্রচণ্ড গরম ও তাপদাহ সব মিলিয়ে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এর আগে গেল কাল বৈশাখীর ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুতের জরাজীর্ণ খুঁটি ভেঙ্গে পরার পাশাপাশি শতাধিক স্থানে তার ছিড়ে গিয়ে বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে ২/৩ দিন সময় লেগেছে। এরই মধ্যে ফের লোডশেডিং বাড়ার ফলে এ অঞ্চলে দিনের ১২/১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।
এছাড়া মাঝে মধ্যেই দেখা যায় সংশ্লিষ্টদের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পল্লী বিদ্যুৎ লাইনের বিভিন্ন কাজের জন্য দিনব্যাপী বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। উপজেলা সদর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কিছুকিছু প্রতিষ্ঠান বা দপ্তরে পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আগাম নোটিশ দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোতে এ ব্যাপারে কোন মাইকিং বা কোন ধরনের প্রচার প্রচারণা করা হয় না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ধারণা করা হচ্ছে শ্রীনগরে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার অর্ধেক সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে না। সামনে বিদ্যুতের এই পরিস্থিতিতে লোডশেডিং আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিনরাত সমান তালে দীর্ঘ লোডশেডিং হয়েছে। এতে ঘন্টা পর ঘন্টা প্রচন্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রাত কাটাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
এ অবস্থায় বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষগুলো চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ভেপসা গরমে শিশুদের ফুড পয়েজনিং, শরীর জ্বালা-পোড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাড়ছে হিট স্ট্রোকের শঙ্কাও। এছাড়া লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, রাইস মিলসহ অন্যান্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে আসা অসংখ্য মানুষ বিদ্যুৎ অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সুশীল মহল বলছেন, বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে বাসা বাড়িতে মানুষের শান্তিতে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। গরমে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে।
শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মদন গোপাল সাহা জানান, জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে লোডশেডিং বাড়ছে। লোডশেডিংয়ের ধারা আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রীনগরে বিদ্যুৎ চাহিদা ৯ মেগওয়াট। এর মধ্যে এখন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৪ মেগওয়াট।
প্রতিনিধি/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :