শিরোনাম
◈ চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে ঢাকার ভূমিকা নিয়ে সতর্ক নয়াদিল্লি: ‘নিবিড় নজর’ রাখছে ভারত ◈ চীনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির পর ভারতের সঙ্গেও 'বড় চুক্তি'র ইঙ্গিত ট্রাম্পের ◈ ‘জুলাই যোদ্ধার’ স্বাস্থ্য কার্ড যুবলীগ কর্মীর হাতে! ফেরত আনল প্রশাসন ◈ ক্লাব বিশ্বকা‌পের শেষ ষোলোতে ম‌্যান‌চেস্টার সিটি ◈ রেডবুল‌কে ৩-০ গো‌লে হা‌রি‌য়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় রিয়াল মাদ্রিদ ◈ আগ্রাসনের পুনরাবৃত্তি হলে ইরান এমন শিক্ষা দেবে যা ইতিহাস হয়ে থাকবে ◈ ইরানের উপর হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন,বিবৃতি ব্রিকসের ◈ রেলওয়ের কেনাকাটায় পুকুরচুরি: পরিচ্ছন্নতা উপকরণ কিনতে ২৫০০০ ঢাকার বিল আড়াই লাখ টাকা! (ভিডিও) ◈ গাজায় ৫৪৯ জন সাহায্য চাইতে গিয়ে নিহত ◈ গাজায় এক তৃতীয়াংশ পরিবার খাবারই পা‌চ্ছে না, অ‌নেক পরিবার এক বেলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছে

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০২৩, ১২:২০ দুপুর
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২৩, ১২:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভিক্ষুকের কোলে সন্তানকে রেখে যাওয়ার কারণ জানালেন মা

শিশু ও মা

জহিরুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর: পুলিশ সুপারের তৎপরতায় সন্ধান মিলেছে সন্তান রেখে চলে যাওয়া সেই মায়ের। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে সদর মডেল থানায় এসে শিশু সন্তানকে ভিক্ষুকের কোলে রেখে চলে যাওয়ার কারণ জানালেন শিশুটির মা সুরমা বেগম (৩২)।

তিনি জানান মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে ভুলে বৃদ্ধা ভিক্ষুক সালমা বেগমের (৭০) কোলে ৩ মাসের শিশু মাহিন হোসেনকে রেখে চলে যান তিনি। 

পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, এখনই আমরা শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করছি না। আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে। শিশুটি বেলাল হোসেন ও নিশি আক্তার দম্পতির হেফাজতে রয়েছেন। 

শিশু মাহিন রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পূর্ব চরসীতা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মিরন হোসেনের ছেলে। মিরন-সুরমা দম্পতির সংসারে আরো ৩ মেয়ে রয়েছে। তারা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। শিশুটির বাবা মিরন দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে চাকরি করেন। ৪ বছর আগে তিনি এসে ধার দেনা ও ঋণ নিয়ে ঘর নির্মাণ করেন। প্রায় ৭-৮ মাস আগে ফের সৌদি চলে যান। কিন্তু ঠিকমতো ঋণের টাকা দিচ্ছিলেন না তিনি। এতে তার স্ত্রী সুরমা ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। এ নিয়ে প্রায়ই মোবাইল ফোনে স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো।

সুরমা বেগম জানিয়েছেন, তার বাবার বাড়ি সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ চরমনসা গ্রামের মিয়ারবেড়ি এলাকায়। বুধবার দুপুর ২টার দিকে বাবার বাড়ি থেকে বাসে করে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার ভাড়া বাসায় আসছিলেন। বাস থেকে তিনি শিশুটিকে নিয়ে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পৌরসভার মজুপুর এলাকায় আধুনিক হাসপাতালের সামনে নামেন। এর আগে বাসে তার স্বামীর সঙ্গে ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এতে দুশ্চিন্তা থেকে শিশুটিকে তিনি ভিক্ষুকের কাছে রেখে চলে যান। ভুলে শিশুটিকে নেননি তিনি। 

পরে ভিক্ষুক সালমার কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন মাহমুদের ভাই বেলালের পরিবারের হেফাজতে রাখেন। বিষয়টি লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে খোঁজ খবর নিতে ছুটে যান সেই শিশু সন্তানের কাছে। শিশুটিকে কোলে নিয়ে দারুণ মুহুর্ত কাটান তিনি। একাধিক ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট করে প্রশংসা কুড়ান পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ। 

এদিকে বাসায় যাওয়ার পর সন্ধ্যায় শিশুটির কথা মনে পড়ে তার মায়ের। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে শিশুটির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিবারের লোকজন। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়