একজন ইহুদিবাদী ইসরাইলি বিশ্লেষকের মতে, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরাইল যে প্রচারণা এবং ধুমধাম তৈরি করেছেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন সৃৃষ্টি করেছে। কারণ নেতানিয়াহুর ঘোষিত কোনো লক্ষ্যই অর্জিত হয়নি।
তাসনিমের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হিব্রু ভাষার ওয়েবসাইট মাইক্রোমিটে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে মিরন রাবিওট এই ব্যর্থতার কিছু দিক তুলে ধরেছেন।
তিনি ভূমিকায় লিখেছেন,ইসরাইলে তারা ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য তাড়াহুড়ো করে একটি গৌরবজ্জল বিজয় ঘোষণা করেছিল কিন্তু এটা অত্যন্ত সন্দেহজনক যে নেতানিয়াহু যে লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করেছিলেন তা অর্জিত হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলি সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করেছেন এবং জনমতকে দুর্বল করেছেন, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গাজার কাদামাটি কোথাও অদৃশ্য হয়নি।
লেখক আরও স্বীকার করেছেন, 'তবে, এটা উপেক্ষা করা যায় না যে ইরানীরাও একটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। ১৯৪৮ সাল থেকে ইসরাইলি প্রধান শহরগুলোর কেন্দ্রগুলো এই যুদ্ধে যে ধরণের হুমকির সম্মুখীন হয়েছে তার মুখোমুখি কখনও হয়নি। ভবনগুলো সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে, প্রায় ১০,০০০ ইসরাইলি (ইসরাইলি সেন্সরশিপ এবং নজরদারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত একটি সংখ্যা) বাস্তুচ্যুত হয়। ২৫টি উঁচু ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংসের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল , শহরের রাস্তাগুলো খালি করা হয়েছিল এবং বেশিরভাগ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ স্থবির হয়ে পড়েছিল।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলা ছিল একটি ভয়াবহ ঘটনা, কিন্তু এটিকে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে দেখা হয়েছিল, কিন্তু গত ১২ দিনে লাখ লাখ ইসরাইলি তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অনুভব করেছেন।এই লেখকের স্বীকারোক্তি অনুসারে, যদি ইসরাইল ইরানের সাথে আরেকটি যুদ্ধ চায়, তাহলে ইসরাইলি সমর্থন এবং সংহতির মাত্রা এবারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হবে।