শিরোনাম
◈ ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট কর‌বে স্পেন ◈ এ‌শিয়া কা‌পে রা‌তে শ্রীলঙ্কা - আফগা‌নিস্তান মু‌খোমু‌খি, লঙ্কান‌দের জয় দেখার অ‌পেক্ষায় বাংলাদেশ  ◈ আওয়মী লীগ বিহীন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে এখন যে সব চিন্তাভাবনা  ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, চেলসিকে হা‌রি‌য়ে বায়ার্ন মিউ‌নি‌খের শুভ সূচনা ◈ কিশোরগঞ্জ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ উঠিয়ে দিন, না হলে ভিন্ন পথ নেবো, জানালেন ফজলুর রহমান ◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৮:৩৪ রাত
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাবার মরদেহ রেখে পরীক্ষা দেওয়া সানজিদার জিপিএ ৪.৭৫ অর্জন

আরমান কবীর: টাঙ্গাইলে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া সানজিদা আক্তার উত্তীর্ণ হয়েছে। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, তিনি জিপিএ ৪.৭৫ পেয়েছেন। 

তার বাবা শামীম আল মামুন গত ১২ নভেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পর দিন রোববার (১৩ নভেম্বর) ইংরেজি দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা দেন তিনি। সানজিদা আক্তারের বাড়ি সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বাইমাইল গ্রামে।

সানজিদা টাঙ্গাইল শহরের সরকারি কুমুদিনী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি শহরের সরকারি শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয়ের কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন।

সানজিদা আক্তারের বড় ভাই ইমরান হোসেন জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাবা পাকস্থলীর সমস্যা নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চার দিন চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১২ নভেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

তিনি আরও জানান, সকালে বাবার লাশ বাড়িতে আনা হয়। বাবার লাশ রেখে ছোট বোন সানজিদা এইচএসসি পরীক্ষা দিতে যায়। পরে বাইমাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে তার বাবাকে দাফন করা হয়। 

সানজিদা আক্তার জানান, ‘আমি বাবাকে খুব ভালোবাসতাম'। তার নির্দেশনা মোতাবেক মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতাম। আমার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’ 

তিনি আরো জানান, বড় হয়ে ডাক্তার হতে চান সানজিদা। সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়