শিরোনাম
◈ সারা দেশে এনআইডি সেবা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ◈ রমনা বটমূলে বোমা হামলা: দুজনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড ◈ সঞ্চয়পত্র কেনার নতুন নিয়ম ◈ মানবিক করিডর নিয়ে সরকার সবাইকে অন্ধকারে রেখেছে : মেজর হাফিজ ◈ ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করব না: অর্থ উপদেষ্টা ◈ আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা ◈ যেভাবে আটক হন সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ (ভিডিও) ◈ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা পেতে যোগাযোগের নাম্বার দেয়া হল ◈ দুই দিন আগে মা মারা গেছেন, কাল মেজবান, আমাকে এখন না ধরেন ভাই” (ভিডিও) ◈ দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজ জন্মভূমিতে যাচ্ছেন কাল প্রধান উপদেষ্টা 

প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:২২ বিকাল
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৬:২২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শহীদ মিনার ভেঙ্গে টাওয়ার নির্মাণের অভিযোগ

মো. সাগর আকন, বরগুনা: ভাষার মাসে স্কুল মাঠের শহীদ মিনার ভেঙ্গে গ্রামীন ফোনের টাওয়ার নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের কদমতলা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে। 

জানা যায়, বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে শহীদ মিনার, গভীর নলকুপ, ফলজ গাছ ও বাথ রুমের পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গ্রামীন ফোনের টাওয়ার নির্মাণ কাজ চলছে। ১২ ফুট বাই ১২ ফুট ও উচ্চতা ১২০ ফুট টাওয়ার নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।

ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রভাষক জিয়াউল হক তুহিন বলেন, ১৯৬৪ সালের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমিসহ হাজারো শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছি। কদমতলা বাজার সংলগ্ন অনেক জমি থাকা সত্বেও প্রতিষ্ঠান প্রধান এবিএম বশির উদ্দিন অন্যায় ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে গ্রামীন ফোনের হাই ভোল্টেজের টাওয়ার নির্মান করার অনুমতি দেয়।

ভাষার মাসে শহীদ মিনার, গভীর নল কুপ ও ফলজ নারিকেল গাছ কেটে ফেলেছে। একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, বিকাল হলে আমরা স্কুল মাঠে লেখাধুলা করি। টাওয়ার হলে আমাদের লেখাধুলা বন্ধ হয়ে যাবে। 

কদমতলা প্রাইমারী বিদ্যালয়ের সভাপতি ইমাদুল হক গাজী বলেন, গ্রামীন ফোনের টাওয়ার কদমতলা প্রয়োজন। কদমতলা অনেক জমি রয়েছে। জমি চাইলে আমিও দিতে পারি। স্কুল মাঠে টাওয়ার বসানো ঠিক হবে না।

গ্রামীন ফোনের প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের ৩০ বছরের চুক্তি হয়েছে। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান সব কিছু জানেন। তবে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি কিছু জানিনা। 

জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, স্কুল মাঠে ফোনের টাওয়ার বসানোর কোন সুযোগ নেই। 

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবিএম বশির উদ্দিন বলেন, তিন বছর কষ্ট করে এই টাওয়ারটা এনেছি এখন এলাকাবাসী বাধা দিয়েছে তাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি আমরা। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়