হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর: ফরিদপুরে বেশিরভাগ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ-খড়ি, তবে নেয়া হচ্ছে না কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। এসব ইটভাটায় অভিযান পরিচালনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা এবং ম্যাজিস্ট্রেট পাচ্ছে না, এমনটাই জানিয়েছেন ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
জানা যায়, জেলায় মোট ৯৯টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ইটভাটাকে নবায়ন দিয়েছে ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তর। বাকিগুলো ত্রুটিপূর্ণ ও অবৈধ থাকায় নবায়ন দেয়া হয়নি।
ফরিদপুর সদর উপজেলার একাধিক ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নের ছোনপঁচা এলাকায় তাজুল ইসলাম স্বত্ত্বাধিকারী হাক্কানী ইটভাটা, বাহিরদিয়া এলাকায় অবস্থিত এনামুল তারেক মিয়া স্বত্ত্বাধিকারী ফ্যনকো ব্রিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ইটভাটায় বিপুল পরিমাণ কাঠ দেখা যায়।
বোয়ালমারী উপজেলার সাবেক মেয়র আব্দুস শুকুর শেখের রাজ ব্রিক্স ইটভাটায় বিপুল কাঠের সমাহার দেখা গেছে। তিনি কাউকেই তোয়াক্কা করেন না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। গত কয়েকদিন আগে সেখানে অভিযান পরিচালনাকালে তিনি লাঞ্ছণার শিকার হন। এ বিষয়ে তিনি ফরিদপুর প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে দেন। এমনকি পাশ্ববর্তী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক বাঁধা পেয়েছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে কোনো সাড়া পাই না। উল্টা আমরা ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান করায় তারা অসন্তুষ্ট।
এদিকে ভাটার মালিকদের দাবি, কয়লার অনেক দাম এবং পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যায় না। যে কারণে বাধ্য হয়ে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর ফরিদপুরে ৫টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে এগারো লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় ও দুটি ইটভাটার আংশিক ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনাকালে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা না করার এবং ইট প্রস্তুতে অবৈধভাবে মাটি ও কাঠের ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার
প্রতিনিধি/একে/এসএ