শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:১৭ বিকাল
আপডেট : ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:১৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বীজতলা

তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বীজতলা

রিয়াদ ইসলাম, ঈশ্বরদী : তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে পাবনার ঈশ্বরদীতে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা শীত ও কুয়াশার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বীজতলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রকার ছত্রাকনাশক ছিটিয়েও ভালো ফল পাচ্ছেন না। এ রকম আবহাওয়া থাকলে এবার বোরোর চারার সংকট দেখা দিতে পারে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

উপজেলার কালামপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের গোপীকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘ব্রি-২৯ জাতের তিন মণ ধানের বীজতলার অর্ধেকই শীত ও কুয়াশায় মরে গেছে। মাঘের মাসের মধ্যে আরও ৫ কেজি ধানের বীজতলা তৈরি করবো। কিন্তু কুয়াশা কমছে না, তাই দুশ্চিন্তায় আছি।’

চরকুড়ুলিয়া গ্রামের সাহাদত হোসেন জানান, ব্রি-২৮ ও রত্নামালা জাতের আধা মণ ধানের বীজতলার অর্ধেকই শীত ও কুয়াশার কারণে মরে গেছে। এবার বীজের অভাবে বোরো ধানের আবাদ করা যাবে না।

বরমপুর গ্রামের উজির আলী, দীঘা গ্রামের তমিজউদ্দীন ও নলগাড়ী গ্রামের দবিরুল ইসলাম জানান, তাঁরা বীজতলায় অটোক্রপ কোম্পানির ব্যাভিস্টিন, নোয়িন কোম্পানির স্কোর, আলফা ইউরোর ডুডু, সিনজেনটার থিওভিটসহ বিভিন্ন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করছেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

সোমবার ও মঙ্গলবার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বীজতলা দেখা গেছে। শীতের কবল থেকে বীজতলা রক্ষা করতে কেউ কেউ পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিচ্ছেন। যাঁরা পলিথিন কিনতে পারেননি, তাঁরা খড় দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন।

এসব গ্রামের অধিকাংশ কৃষক জানান, পৌষের প্রথম সপ্তাহের পরে যেসব বীজতলায় ধানের বীজ বোনা হয়েছিল, সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তবে অগ্রহায়ণ মাসে বপন করা ধানবীজ থেকে জন্মানো কিছু চারা ভালো আছে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ২ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার জানান, দেরিতে বপন করা বীজতলাগুলোর চারা শীত ও কুয়াশায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। তবে প্রতিদিন তিন-চার ঘণ্টা করে রোদ পাওয়া গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, শীত ও কুয়াশায় বীজতলার ক্ষতি হলেও চারার সংকট হবে না। কারণ, কৃষক প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বীজতলা তৈরি করেছেন।

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়