এম আর আমিন , চট্টগ্রাম : প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম নতুন সাজে সাজছে। চট্টগ্রাম প্রধানমন্ত্রীর ৪ ডিসেম্বরের জনসভা সফল করতে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগসহ চট্টগ্রামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রীকে বরণে চট্টগ্রাম জুড়ে চলছে আয়োজন। জনসভার মাঠের ভেতরের দশ গুণ (প্রায় ২০ লাখ) লোক সমাগম করার কথা জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
১০ বছর ৯ মাস পর একই মাঠে আবারও ভাষণ দেবেন তিনি।দিনরাত নগরীর ভাঙা সড়ক মেরামত করা হচ্ছে। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভার, এমএ মান্নান ফ্লাইওভারসহ ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। ল্যাম্পপোস্টে নৌকার আকৃতিতে এলইডি বাতি লাগানোয় সড়কে আলো ঝলমল করছে। জনসভা সফল করতে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষ্যে নগরীকে সাজিয়ে তুলতে নানা কর্মযজ্ঞ চলছে। চট্টগ্রাম মহানগরে বিভিন্ন সড়কের ছোট-বড় গর্তে কংক্রিট ও পিচ ঢালাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চসিকের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারীরা।
আইল্যান্ড ও ফুটপাত রং দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। বড় বড় গাছের গোড়ায় রং দেওয়াসহ নানা কর্মযজ্ঞ চলছে। নতুন করে রাঙিয়ে তোলায় যেন প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বন্দরনগরীর।এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগ নেতারা দফায় দফায় সভা করছেন।
ইতোমধ্যে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার লাগানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী যেসব সড়ক দিয়ে জনসভাস্থলে যাবেন, সেসব সড়ক ব্যানার, পোস্টারে ছেয়ে যাচ্ছে।মঞ্চটি নৌকার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। মঞ্চটির দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৬০ ফুট। মঞ্চের মাঝখানের ৪০-৮০ ফুটের মধ্যে ২শ অতিথি বসবেন। মঞ্চের উচ্চতা হবে সাত ফুট।
এছাড়া মঞ্চের সামনে মুক্তিযোদ্ধা, ভিআইপি ও মহিলাদের বসার জন্য পৃথক প্যান্ডেল তৈরি করা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি শোনানোর জন্য ৩০০ মাইক লাগানো হবে। সভা শেষে নেতারা পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন করেন।
প্রতিনিধি/জেএ