শিরোনাম
◈ ফিলিপ মরিসকে নিকোটিন পাউচ কারখানার অনুমতি যে কারণে বৈধ বললেন বিডা-বেজা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ ◈ সাভার ট্যানারি শিল্পনগরী বেপজার হাতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু ◈ সিরাজগঞ্জে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছেন ভূমি কর্মকর্তা, ভিডিও ভাইরাল ◈ বিএনপির প্রার্থী তালিকা কি সরকারের সময়সীমার বিপরীতে 'কৌশল'? ◈ অ্যাঙ্গোলোর বিরু‌দ্ধে আ‌র্জেন্টিনার দল ঘোষণা ◈ জাতীয় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি ও পদায়ন বন্ধ ঘোষণা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ◈ ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, বিভ্রান্তকারীরা পতিত সরকারের দোসর: প্রেস সচিব ◈ বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গে নতুন সেনা ঘাঁটি ও আসামে সামরিক স্টেশন স্থাপন করছে ভারত ◈ আহমেদাবাদে হ‌তে পা‌রে  ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ◈ জুলাই সনদ ও গণভোট নি‌য়ে উত্তপ্ত রাজনী‌তির মাঠ, দলগুলো কি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবে?

প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর, ২০২২, ০৬:০৬ বিকাল
আপডেট : ০৫ অক্টোবর, ২০২২, ০৬:০৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধামরাইয়ে সমিতি থেকে চড়াসুদে ঋণ নিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ

মো.আদনান হোসেন, ধামরাই : জেলার উপ জেলায় নামে-বেনামে লাগামহীনভাবে বাড়ছে সমবায় সমিতি। বিধি-নিষেধ না মেনে চড়াসুদে ঋণ দিচ্ছে, আর সেই ঋণ নিয়ে শোধ দিতে না পেরে সর্বশান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ঋণ শোধে ব্যর্থ গ্রাহকরা।

করোনা মহামারির সময় ঋণগ্রহীতারা আর্থিক সংকটে সময়মতো কিস্তি দিতে পারেননি। এই সুযোগে কাজে লাগিয়ে (ব্ল্যাংক) চেক ডিজঅনার করিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা হতিয়ে নিচ্ছে। এভাবেই দিনের পর দিন সাধারণ মানুষকে ঋণের চড়া সুদের  কারনে সমিতির মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। 

ঢাকার ধামরাইয়ে নওগাঁও এলাকায়‘গণজাগরণ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড' এখন মানুষের কাছে একটি আতঙ্কের নাম। এ সমিতির পরিচালকের নাম আসাদ উল্লাহ তার পিতার নাম মৃত আমান উল্লাহ। 

সূতিপাড়া ইউনিয়নের ভাটারখোলা গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রাজিয়া বেগম ৬০ হাজার টাকা, রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা আক্তার ৭০ হাজার, স্বপন মিয়ার স্ত্রী জীবন আরা ৬০ হাজার ও আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী রোজিনা আক্তার ৭০ হাজার টাকা বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ গ্রহণ করেন। সুদসহ ঋণ পরিশোধের পরও  তার ঋণ শেষ হয়নি।ঋণ গ্রহণের সময় (ব্ল্যাংক)চেকে সই কারানোই হচ্ছে আতঙ্কের মূলকারন।

পরবর্তীতে চেক ডিস-অনার করিয়ে কয়েক গুণ বেশি টাকা তাদের কাছ থকে হতিয়ে নেওয়া। গ্রামের সহজ সরল মানুষেরা এই ধরনের জটিলতায় পড়ে  কেউ আবার জেল খেটেছেন আবার কেউ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিচালক আসাদ উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, মামলা দিয়ে টাকা আদায় করাই তো আমার কাজ। বিভিন্ন সমিতির মালিকদের সাথে কথা বললে তারা উচ্চহারে সুদ আদায়ের কথা অস্বীকার করেন। 

ধামরাই উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা লিপিকা রানী বলেন, অবশ্যই এটা খতিয়ে দেখা হবে এরা রেজিস্ট্রারকৃত কিনা। রেজিস্ট্রার করে যদি এধরনের অবৈধ কার্যকলাপ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধামরাইয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠা সমিতি গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবৈধ সমিতি বন্ধ এবং আইন-কানুন মেনে পরিচালনার দাবি সংশ্লিষ্টদের। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়