বাবুল খাঁন : মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পয়েন্ট জুড়ে অব্যাহত গোলাবারুদ বর্ষণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সীমান্তের বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু দুর্গোৎসব নিয়ে শঙ্কায় ১৬ হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবার।
সামনে শারদীয় দুর্গোৎসব। অন্যান্য স্থানের মতো অনেকটাই প্রস্তুত সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চলে বসবাসকারী হিন্দুরা। তবে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এ মন্দিরে এবার পূজা উদযাপন নিয়ে। ওপারের গোলাগুলি আর মর্টারশেলের শব্দে তটস্থ এপারের মানুষ।
বৃহস্পতিবার মন্দিরের ভেতরে প্রস্তুতি সভা চলাকালীন মিয়ানমার থেকে ভেসে আসে একের পর এক বিকট শব্দ। উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে এমনিতেই উদ্বেগে উৎকন্ঠায় সীমান্ত এলাকার মানুষ।
স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নির্বিঘ্নে আমরা ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছি না। প্রতিবছর তো আমরা আনন্দ করি এবার না হয় আনন্দ কম করবো, আমাদের প্রত্যশা শারদীয় দুর্গোৎসব হোক শঙ্কা মুক্ত।
এমন পরিস্থিতিতে নির্বিঘ্নে পূজা করতে হলে উখিয়ার বালুখালিতে মণ্ডপ করার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, পূজা করতে তেমন কোন সমস্যা হবার কথা না। তবে হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোন ধরনের সমস্যা যদি তারা মনে করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিরাপত্তায় থাকবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব