সুবর্ণা হামিদ: নগরীর আম্বরখানা থেকে বন্দর বাজার এসে ১৫ টাকা ভাড়া দিচ্ছেন নাজমুল কবির। এই ভাড়া নিতে নারাজ সিএনজি অটোরিকশা চালক। দু’জনের মধ্যে তুমুল তর্ক-বিতর্ক, গাড়িতে সামনে পিছে আরো তিন জন যাত্রী। চালকের দাবি, ২০ টাকা দিতে হবে। যাত্রীর দাবি, তিন জনের বেশি যাত্রী গাড়িতে তুলেছেন চালক; তাহলে তো ভাড়া কম হওয়া কথা। এ নিয়ে রাস্তার মাঝখানে হট্টগোল। এমন দৃশ্য এখন প্রায়ই দেখা যায় সিলেট মহানগরে।
বিভাগীয় শহর হলেও এখানে সিএনজি অটোরিকশাতে মিটার নেই। গ্রিল ও দরজা না থাকায় অতিরিক্ত যাত্রী তোলেন চালকরা। ভাড়াও চান খেয়ালখুশি মতো।
কলেজ ছাত্রী রিনা আক্তার বলেন, আমি জিন্দাবাজার এলাকার বাসিন্দা। সকালে সময় বাঁচাতে অটোরিকশায় আম্বর খানায় কলেজে আসি। কিন্তু প্রতিদিনই আমাকে বাড়তি ভাড়া দিতে হয়, কারণ আমি পেছনের সীটে বসি। সেখানে তিন জনের বেশি বসা যায় না। তাই আমি দুই সীট নিয়ে বসি। কিন্তু চালক আমার কাছ থেকে দুই সীটের ভাড়া নিলেও সামনে আরেক জন যাত্রী উঠায়, কিন্তু ভাড়া কম দিতে চাইলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। লজ্জায় কিছু বলতেও পারি না।
তবে বেশিরভাগ চালক এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নগরীর আম্বর খানা থেকে বন্দর বাজার রোডে গাড়ি চালাল আবু হোসাইন। তিনি বলেন, আমি কখনো তিন জনের বেশি যাত্রী গাড়িতে তুলি না। ভাড়াও বেশি নেই না। কারণ পুলিশ এক বার মামলা দিলে চার থেকে পাঁচ হাজার জরিমানা হয়। তার চেয়ে বরং সাবধানে থাকা ভালো বলে আমি মনে করি। তবে এটাও ঠিক, কিছু ড্রাইভার আছে যারা যাত্রী বেশি নেয়, ভাড়াও বেশি নেয়। আবার তারা মামলাও খায়।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, সিএনজি অটোরিকশায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন বা বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নগরীর প্রতিটা পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদের এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। কোন যাত্রী ৯৯৯ এ অভিযোগ করলেও পুলিশ অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব