কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড বাঁশখালী কক্সবাজারের ২৬ জেলে-মাঝিসহ একটি মাছ ধরার ফিশিং ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল এলাকা থেকে বঙ্গোপসাগরে রওনা দিলে ঘন কুয়াশায় ফিশিং ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা উপকূলীয় এলাকায় চলে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
আটকৃত মাঝি মোল্লা পরিবার সূত্রে জানা যায় আটককৃতরা বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ফ্রেজারগঞ্জ থানা হেফাজতে রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা এবং নিশ্চিত করেন বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল এলাকার এফ বি মায়ের দোয়া ফিশিং ট্রলারের মালিক জাহাঙ্গীর আলম।
ভারতে আটক জেলেরা হলেন বাঁশখালী শীলকূপ এলাকার - মোঃ আলী চাঁন, মোঃ জিয়াউল হক,মোঃ ইউসুফ, মোঃ জোবাইর, ওসমান গণি, কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া এলাকার রেজাউল করিম,আবু তাহের,ছরওয়ার হোসেন, মোঃ মিরাজ উদ্দীন, মামুনুর রশীদ ছৈয়দ নূর, শওকত আলম, মোঃ ইলিয়াসমোঃ মারুফুল ইসলাম, মোঃ ফারুক ,মোঃ একরাম, নূর মোহাম্মদ মহেশখালী এলাকার -আজিজুর রহমান,মোজাম্মেল হক, পেকুয়া এলাকার মোহাম্মদ আজিজ, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর এলাকার, মোঃ হাসান, ফিশিং ট্রালার থাকা আরও ৫ জনের নাম জানা যায়নি।
শেখেরখীল ফিশিং ট্রালার মালিক সমিতির সূত্র জানা যায় গত ১৪ নভেম্বর শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ এলাকা থেকে থেকে ট্রলারটি যাত্রা করে।১৫ নভেম্বর শনিবার রাতে ২৬ মাঝি- মাল্লাসহ ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটকের বিষয়টি জানতে পারে তাদের পরিবার সদস্যরা।
ফিশিং ট্রলারটির মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাঝি-মাল্লাসহ ২৬ জন মাঝি- মাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। এ বিষয়ে লিখিতভাবে সদরঘাট নৌ থানাকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ থানার (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি থানায় একটি অবহিতকরন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং ভারতে আটক জেলেদের আইনগত সহায়তা করার প্রক্রিয়া চলছে ।