ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী প্রতিনিধি: বিচারকের ছেলের হত্যাকাণ্ডে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত লিমন মিয়ার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি অফিসিয়াল প্রটোকল ছাড়াই একটি প্রাইভেট কারে করে সাদা পোশাকে তিনি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে উপস্থিত হন।
এসময় তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের বিবিধ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে ১ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
আরএমপি কমিশনারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জমশেদ আলী জানান, পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় একজন সাংবাদিক
অভিযুক্ত লিমন মিয়ার বক্তব্য ক্যামেরায় ধারণ করে সেটি প্রচার করেন। এটি করা যায় না। তাই আদালত বিষয়টি জানতে আরএমপি কমিশনারকে তলব করেছিলেন। পুলিশ কমিশনার আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে লিখিত জবাব দিয়েছেন। জবাবে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই তিনি অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ মাসুম জানান, পুলিশ কমিশনারের আইনজীবী আদালতকে অবহিত করেন এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এবং সেটি
তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়।
গত ১৩ নভেম্বর) নগরীর রাজপাড়া থানার ডাবতলা এলাকায় বিচারকের ভাড়া ফ্লাটে অভিযুক্ত লিমন মিয়া কৌশলে প্রবেশ করে তার ছেলে তাওসিফ রহমানকে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত ও শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এসময় তার স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে পুলিশ আটক করে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অভিযুক্ত লিমন মিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় মিডিয়ায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন। যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর আরএমপি কমিশনারকে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।