 
    
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নিচ খানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সহিংসতায় পুরো চরাঞ্চলে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নিহতরা হলেন: বাঘা উপজেলার নিচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দা আমান (৩৬) ও নাজমুল ইসলাম (২৬)। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন মুনতাজ মন্ডল (৩২) ও রাবিক হোসেন (১৮)।
নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, চরাঞ্চলের জমির দখল নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। দুপুরে নিচ খানপুর গ্রামের লোকজন চর এলাকায় খড় কাটতে গেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাঁকন বাহিনীর’ সশস্ত্র লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। জমির দখল নিতে তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মুনতাজের পক্ষের লোকজনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।
 
সংঘর্ষের পর গুলিবিদ্ধ চারজনকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আমানকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে গুরুতর আহত নাজমুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক শঙ্কর কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ মুনতাজ মন্ডল ও রাবিক হোসেনকে হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা গুরুতর।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মন্ডল জানান, হাসপাতাল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেননি। তবে সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংঘর্ষের পরপরই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চরের বাসিন্দাদের মধ্যে থমথমে ভাব ও আতঙ্ক কাটেনি। উৎস: সময়নিউজটিভি।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
