মিজান লিটন: চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে পরকিয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী নার্গিস বেগম (২৮) এর গরম qপানি নিক্ষেপে স্বামী আব্দুল জলিল বেপারী (৪০) এর মুখমন্ডল ঝলসেগেছে। এই ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযুক্ত নার্গিস বেগমকে আটক করেছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া।
আহত জলিল বেপারী পাশবর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজার এলাকার বেপারী বাড়ির মৃত আবিদ আলীর ছেলে। অভিযুক্ত নার্গিস বেগম একই উপজেলার হাসা গ্রামের বেলগাছতলা মিজি বাড়ির হাবিব মিজির মেয়ে। নার্গিস জলিলের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রী নার্গিস আক্তার থাকেন গ্রামের বাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, জলিল বেপারীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ হলেও তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগমকে নিয়ে সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে বসুর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং রিকশা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করতেন। তিনি যখন বাড়ির বাহিরে থাকতেন ওই সময়ে স্ত্রী নার্গিস পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
আব্দুল জলিল বলেন, শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগম তার মুখ মন্ডলে গরম পানি নিক্ষেপ করে এবং রাতেই ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
গ্রাম পুলিশ সদস্য হারুন জানান, সকালে ৪ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন ও স্থানীয়রা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। তারা লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে জলিলকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। এরপর হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় এবং বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হলে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিবের নির্দেশে সদর মডেল থানার ওসির তত্ত্বাবধানে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযুক্ত স্ত্রী নার্গিস বেগমকে ঘটনাস্থল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, আহত জলিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার স্ত্রী থানা হেফাজতে রয়েছে। জলিল এর আত্মীয় স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ঘটনাটি পরকিয়ার সাথে জড়িত কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মাঠে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।