শিরোনাম
◈ বিশেষজ্ঞদের সাথে ঐকমত্য কমিশনের ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত ◈ সাংবাদিকদের উপযুক্ত বেতন না দি‌লে প্রতিষ্ঠানের অ‌্যাক্রিডিটেশন ও সরকারের দেয়া সু‌বিধা বা‌তিল করা হ‌বে: তথ‌্য উপ‌দেষ্টা ◈ আরও কমলো স্বর্ণের দাম, ভরি কত? ◈ ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত, প্রকাশ সোমবার : ইসি সচিব ◈ ইতালির প্রধানমন্ত্রী আসছেন ডিসেম্বরেই, আলোচনায় থাকবে অভিবাসন ◈ ২০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি, ৫ দফায় হয়েছে আসনভিত্তিক জরিপ ◈ ট্রেনে অস্ত্র পাওয়া নিয়ে সেনাবাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ◈ ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছেই: একদিনে আরও ৪ মৃত্যু, মোট প্রাণহানি ২৬৩ ◈ জামায়াতসহ ৮ দলের বিক্ষোভ সোমবার ◈ ৪ দিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম, জরুরি বার্তা বিটিআরসির

প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:০২ বিকাল
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইঁদুর দমনে কৃষি বিভাগের বিশেষ অভিযান

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটের ফকিরহাটে মাঠ ভরা ধান পাকার প্রহর গুণছে চাষীরা। মাঠের সোনালী ধান নিরাপদে কৃষকের গোলায় তুলতে কৃষি বিভাগ ইঁদুর দমনে মাসব্যাপি বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানান, উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষিজমিতে সরেজমিন পরিদর্শন করছেন। মাঠে গিয়ে তারা কৃষকদের হাতে ইঁদুর দমনের নির্দেশিকা ও লিফলেট বিতরণ, গর্ত শনাক্ত ও ধ্বংসের পদ্ধতি প্রদর্শন এবং ফাঁদ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। ফকিরহাট কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর ফকিরহাটে ৪ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে ইঁদুর দমনে অনেক কৃষক বৈদ্যুতিক ফাঁদ ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু কৃষি বিভাগ একে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও আইনত নিষিদ্ধ হিসেবে সতর্ক করেছে। প্রতি বছর এ ধরনের বৈদ্যুতিক ফাঁদে কৃষকদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। তাই কৃষি বিভাগ কৃষকদের এই পদ্ধতি পরিহার করে নিরাপদ ও অনুমোদিত পদ্ধতিতে ইঁদুর নিধনের জন্য প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করছে।

স্থানীয় কৃষক জামাল হোসেন, শওকত শেখ, গোবিন্দ হালদার সহ অনেকে জানান, চলতি মৌসূমে কৃষি বিভাগের নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ পেয়ে তারা ইঁদুর দমন বিষয়ে সচেতন হয়েছেন। তারা ইতিমধ্যে নিজেদের খেতে সেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করে ফল পাচ্ছেন। উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা নয়ন কুমার সেন বলেন, “শীষ ধরা থেকে ফসল পাকা পর্যায়ে ইঁদুর ফসলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এই সময়ে ফসলের শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ পর্যন্ত ক্ষতি করে থাকে। ফলে ফলনে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। এজন্য সমন্বিতভাবে ইঁদুর দমন অভিযান চালানো হচ্ছে। উপজেলা সকল কৃষক একসাথে সমন্বিতভাবে কাজ করলে প্রভাব অনেক কমানো সম্ভব।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল জানান, কৃষকদের বলা হচ্ছে ক্ষেত পরিষ্কার রাখা, একযোগে ফাঁদ পাতা, ইঁদুরের গর্ত ধ্বংস ও ইঁদুরের প্রাকৃতিক শত্রু সংরক্ষণ করতে। কৃষকদের সহযোগিতায় এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ফসলের ক্ষতি অনেকাংশে কমে যাবে। মৌসূমের শুরুতে অতিবর্ষনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠে কৃষকদের যে ফসল হয়েছে তা নিরাপদ রাখতেই কৃষি বিভাগের এ তৎপরতা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “ইঁদুর খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, অন্যদিকে সাপ, ঈগল ও অন্যান্য শিকারি প্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে ইঁদুর দমন ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কৃষি বিভাগ আমন ফসল ঘরে না তোলা পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সবধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।”ইঁদুর দমন সফল হলে আমন ফসলে কৃষকরা এবার লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়