ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ গত ১৬ দিন আগে নানা বাড়ী থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি আলী আকবর রিজভী নামে ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা পড়ুয়া হাফেজী ছাত্র। পরিবারের ভাষ্য, দুষ্ট চক্র কর্তৃক অপহরন পূর্বক পাচারের স্বীকার হতে পারে রিজভী। সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ফয়লা গোহাটা মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের হাফেজ পড়ুয়া ছাত্র।
গত ১০ অক্টোবর বিকালে শহরের বলরামপুর ভ্যানষ্টান্ড থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় অপহরন ও গুমের অভিযোগ এনে তার পিতা জাহিদুল ইসলাম ২০ অক্টোবর ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ এবং ১২ অক্টোবর কালীগঞ্জ থানাতে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
লিখিত অভিযোগে ও সাধারণ ডায়েরিতে নিখোঁজ রিজভীর পিতা কোটচাদপুর উপজেলা বলুহর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম জানান, রিজভী তার নানা কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামের মানোয়ার হোসেনের বাড়ী থেকে হাফেজি পড়ত। ঘটনার দিন ১০ অক্টোবর বিকালে কিছু খাবে বলে নানার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। এরপর বাড়ীর সামনেই ভ্যানষ্টান্ডে এসে এক কামারের দোকানে চাকু কিনতে যায়। চাকুর দাম জিজ্ঞাসার পরই রিজভী পরে আসছি বলে চলে যায়। এরপর সে ওই দোকানে বা বাড়িতেও ফিরে যায়নি। রাতে পরিবারের লোকজন অনেক খোজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। একদিন পর কালীগঞ্জ থানাতে একটি সাধারন ডায়েরি করেন।
পেশায় ট্রাক ড্রাইভার রিজভীর পিতা জাহিদুল আরো জানান, থানায় অভিযোগ ছাড়াও নিজেরা বিভিন্ন স্থানে খুজে ছেলের সন্ধান না পাওয়াতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এমনকি ছেলের সন্ধানে স্থানীয় কবিরাজ ও গুনিনদেরও স্বরনাপন্ন হয়েছেন। গুনিনরা তাকে বলেছে, একটি দুষ্ট চক্র তার ছেলেকে অপহরন করে সাতক্ষিরার ভারতীয় সিমান্তবর্তী কোন এক স্থানের একটি ঘরে অজ্ঞান করে আটকে রেখেছেন। পরে ওই এলাকাতে গিয়েও ছেলের কোন সন্ধান পাননি। সর্বশেষ তিনি অপহরন ও গুমের অভিযোগে ২০ অক্টোবর ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্প বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
ফয়লা হাফেজী মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান. রিজভী হাফেজি হেফজ শাখার ছাত্র। মাদ্রাসা এলাকা সংলগ্ন তার নানা বাড়ীতে থেকেই পড়াশোনা করত। তার পরিবার থেকে নিখোজের বিষয়টি শোনার পর থেকে তারাও রিজভীর সন্ধানে খোজ খবর নিচ্ছেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, হাফেজী পড়ুয়া ছাত্র নিখোজের ঘটনায় থানাতে একটি সাধারন ডায়েরি হয়েছে। পুলিশ তাকে উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।