ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: মাদক উদ্ধারে এসেছি, দরজা খুলেন। এমন কথা বলে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাতি শেষে পালানোর সময়ে গ্রামবাসীর হাতে তিনজন ডাকাত আটক হয়েছে। তবে, এ সময়ে ডাকাত দলের সাথে থাকা আরো ৫ জন সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সোমবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ধৃত ডাকাত সদস্যদের আটক করে থানাতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের সাথী খাতুন নামে এক মহিলাকে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। দুপুরে ভ’ক্তভোগী গৃহকর্ত্রী রিজিয়া খাতুন কালীগঞ্জ থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আটক ডাকাত সদস্যরা হলেন, ঝিনাইদহ সদরের চান্দুয়ালী গ্রামের আবাইদুল মন্ডলের ছেলে তুষার, হরিণাকুন্ডু উপজেলার পার্বতীপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে শাহাবুর মন্ডল ও বইটাপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে রানা হোসেন।
ভ’ক্তভোগী উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের বজলুল করিমের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন জানায়, ওই রাতে তার স্বামী বাইরে থাকায় বাড়ীতে তিনি একাই ছিলেন। এ সুযোগে রাত পৌনে ৮ টার দিকে ৭/৮ জনের একদল মানুষ মাদকদ্রব্য উদ্ধারে এসেছেন বলে বাড়ীতে প্রবেশ করেন। ছিল। এরপর তারা এই বাড়িতে কেউ গাঁজা নিয়ে ঢুকেছে তল্লাশী করবে বলে রিজিয়াকে ২য় তলাতে নিয়ে যায়। কিছু সময় পরেই নিচে এসে দেখেন ঘরের আলমারিসহ ড্রয়ার ভাঙ্গা। সেখানে থাকা ডাকাত দলের সবারই হাতে ধারালো অস্ত্র। তিনি বলেন, ডাকাতেরা তার আলমারী থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণের গহনা ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে পালিয়ে যাবারকালে গ্রামবাসীর হাতে ৩ জন ডাকাত আটক হয়।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানায়, রাত ৮ টার দিকে বজলুর স্ত্রী রাজিয়া খাতুনের চিৎকারে তারা ওই বাড়িতে যায়। ডাকাতির কথা শুনে গ্রামবাসীরা সাথে সাথেই ডাকাত দলের পিছু ধাওয়া করেন। এ সময়ে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা তিন ডাকাতকে আটক করে গ্রামবাসী। তবে, ডাকাত দলের বাকী আরো ৫ সদস্যকে ধরতে পারেনি তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী টিম এসে ধৃত ৩ ডাকাতকে থানায় নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, রাতেই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ধৃত তিন ডাকাতকে থানাতে নিয়ে আসেন। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহভাজন ওই গ্রামের এক নারীকে থানাতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ভ’ক্তভোগী গৃহকর্ত্রী থানাতে একটি অভিযোগ দিয়েছেন।