ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে: পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই ইজারাদারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ঘাটসংলগ্ন সুইসগেট এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকার সোহেল খন্দকারের নেতৃত্বে ‘গ্রুপ অন সার্ভিসেস’ নামে একটি দল নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করে তরিয়া মহল এলাকায় প্রবেশ করে খাজনা আদায় করছিল। কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল।
সোমবার বিকেলে ‘এটি এন্টারপ্রাইজ’-এর কর্মীরা খাজনা নিয়ে সাঁড়া ৫ নম্বর ঘাটে ফিরছিলেন। ঘাটে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের লোকজন হামলা চালায়। এতে নিজাম ও সজীব গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাফিসা খানম জানান, ‘গুলিবিদ্ধদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান অভিযোগ করেছেন, ‘সোহেল খন্দকারের নেতৃত্বে গ্রুপঅন সার্ভিসেসের লোকেরা আমাদের এলাকায় প্রবেশ করে কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছুড়েছে। তারা নগদ টাকা ও স্পিডবোটও ছিনিয়ে নিয়েছে।’
অন্যদিকে, গ্রুপঅন সার্ভিসেসের স্থানীয় প্রতিনিধি সোহেল খন্দকার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘এটি এন্টারপ্রাইজের লোকজনই আমাদের সীমানায় ঢুকে জোরপূর্বক খাজনা তুলছিল। প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও কোনো সাড়া পাইনি, তাই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।’ লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ‘গুলিতে দুজন মানুষ আহত হয়েছেন।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।’