নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের নদীগুলোর মধ্যে চিলাই নদী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি স্থানীয় কৃষি, মাছধরা ও নৌযান চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর গভীরতা ও প্রবাহ ব্যাহত হয়ে পড়ায় পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছিল।
গুরুত্বপূর্ণ চিলাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। নদীর শরীফপুর গ্রামসংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁশের বেড়া স্থাপন করা হয়েছে যাতে কোনো ভাবেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বা পরিবহন সম্ভব না হয়।
দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে রাতের আঁধারে নদী থেকে বালু উত্তোলন চলছিল। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হওয়া ছাড়াও কৃষিজমি ও বসতবাড়ি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। প্রশাসনের এ উদ্যোগের ফলে এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, অতিরিক্ত বালু তোলার কারণে নদীর তীর ভেঙে যাচ্ছে এবং ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। তারা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন।
পরিবেশবিদ সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, চিলাই নদীতে প্রশাসনের এ উদ্যোগ কেবল নদীর ভারসাম্য রক্ষায় নয় বরং এলাকার সামগ্রিক পরিবেশ সুরক্ষায়ও বড় ভূমিকা রাখবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, এমন উদ্যোগ অন্যান্য নদীতেও গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ বলেন, চিলাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশ ও কৃষিজমি ক্ষতির মুখে পড়ছিল। প্রশাসন এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছে—আইন অমান্যকারী কেউ ছাড় পাবে না। তিনি আরও বলেন, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বালু উত্তোলন করতে পারবে না। পরিবেশ ও কৃষি রক্ষায় মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।