ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদী পাকশী জনতা ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ গত দুদিন ধরে নিখোঁজ। ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
রোববার দুপুরে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর তিনি আর শাখায় ফেরেননি। ঘটনার রাতেই ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মোহছানাতুল হক ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডিতে জানানো হয়েছে, শনিবার খালেদ সাইফুল্লাহ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। শাখায় পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তাকে ৭০ লাখ টাকা দিতে চাওয়া হলেও তিনি রাজি হননি। পরের দিন রোববার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি ফোন করে ৭০-৭৫ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানান।
এরপর রোববার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি দাশুড়িয়া বাজার শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা তোলেন। এরপর ঈশ্বরদী কর্পোরেট
শাখায় গিয়ে পাকশী শাখার জন্য আরও ১ কোটি টাকা নিয়ে যান। এই সময় তার সঙ্গে আনসার সদস্য মাহবুবও ছিলেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করার পর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে খালেদ সাইফুল্লাহ, আনসার মাহবুব এবং গাড়িচালক মো. ইসমাইল হোসেন গাড়ি নিয়ে পাকশী শাখার দিকে রওনা হন। কিন্তু তিনি শাখায় পৌঁছাননি এবং তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শাখার সহকারী ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি তখনও পৌঁছেননি। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তারা পুলিশে খবর দেন এবং পুলিশের পরামর্শে থানায় জিডি করা হয়। দাশুড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান নিশ্চিত করেছেন, নিয়ম মেনেই টাকা হস্তান্তর করা হয়েছিল।
আনসার মাহবুব বলেছেন, ‘ঈশ্বরদী বাজার এলাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে তিনি আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যান।‘
নিখোঁজ ব্যবস্থাপকের স্ত্রী দিলরুবা বেগম জানান, ‘সকালে তিনি বাসা থেকে ব্যাংকে যান এবং বিকেলে ব্যাংক থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ।’
জনতা ব্যাংকের রাজশাহীর প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন জোয়ার্দ্দার ঘটনাটিকে গুরুতর উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা শাখায় গিয়ে বিষয়টি দেখছেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
আজ সোমবার রাতে ঈশ্বরদী থানার ওসি আ. স. ম. আব্দুন নূর জানান, ‘তিনি স্বেচ্ছায় কোথাও গেছেন নাকি কেউ তাকে গুম করেছে, তা আমরা নিশ্চিত নই। প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ চলছে।’