মিজান লিটনঃ দেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিন জেলার পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। অভিযান শুরুর তৃতীয় দিনে
উপকূলীয় জেলা সদরের আনন্দবাজার, লালপুর, কল্যাণপুর, যমুনা রোড, টিলাবাড়ি, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, রামদাসদী, বহরিয়া ও হরিণা ফেরিঘাট পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে জেলে নৌকা শূন্য নদী। তবে যাত্রী ও মালবাহী অন্যান্য নৌযান চলাচল করছে।
সদরের হরিনা নৌ-ফারির সামনে গিয়ে দেখা যায়। বেশ কয়েকজন জেলে তাদের জাল মেরামতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। আনন্দ বাজার এলাকায় জেলেরা নৌকাগুলো ডাঙ্গায় উঠিয়ে রেখেছে। এসময় জেলেরা জানান,অভিযানের শুরুতেই আমরা নৌকা ও জাল ডাঙ্গায় উঠিয়ে রেখেছি।
এখন এই অবসর সময়টাতে আমাদের জাল ও নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছি। কারণ অভিযান শেষ হলে আমরা তখন আর এই জাল ও নৌকাগুলো মেরামতের কাজে সময় দিতে পারি না। তখন মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। তাই এই সময়টা এ কাজে লাগাচ্ছি।
নদীতে ভরা মৌসুমে ইলিশ পাওয়া যায়নি। ইলিশ সঠিকভাবে ডিম ছাড়তে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এসময় হরিনা এলাকার জেলেরা আরো জানান, যারা প্রকৃত জেলে তারা কখোনেই মা ইলিশ ধরে না। এ সময়ে কিছু মৌসুমী জেলে আছে তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মা ইলিশ ধরে। আমরা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলি। সবাই এই আইন মেনে চলুক আমরাও এটা চাই।
তারা আরো বলেন, এই সময়টাতে আমাদের সংসার চালাতে ভীষণ কষ্ট পোহাতে হয়। সরকার যে চাল দেয় তা দিয়ে আমাদের চলে না। সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি করার দরকার। সরকার আমাদের দিকে নজর দিয়ে পাশে থাকুক।