শিরোনাম
◈ ১৬ বছরের দুঃশাসনের চিত্র থাকবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে ◈ পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে যেসব সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয় ◈ নির্বাচনী জোট নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ ◈ বাংলাদেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা আনতে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ পরামর্শ ◈ তারেক রহমান: স্বৈরাচার বিদায় হলেও ‘অদৃশ্য শক্তি’ মাথাচাড়া দিচ্ছে, সতর্ক থাকার আহ্বান ◈ সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আবারও সভা করেছে ঐকমত্য কমিশন ◈ বিদেশি গুপ্তচর নিয়োগে এমআই৬-এর নতুন অস্ত্র ‘সাইলেন্ট কুরিয়ার’ পোর্টাল ◈ ইউরোপজুড়ে বিমান পরিষেবায় সাইবার হামলা, বাতিল হচ্ছে ফ্লাইট ◈ ছাত্র প্রতিনিধিদের সরকারে আসাটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয় না : সালাহউদ্দিন ◈ আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি, লড়াই করে গড়ে উঠেছি’: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:৪৪ বিকাল
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নবীনগরে জমজমাট ধানের চারার হাট

মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: আমন ধান রোপণের মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বাঙ্গরা বাজারে জমে উঠেছে ধানের চারার হাট। প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে চারার কেনাবেচা। কৃষকরা নিজেদের তৈরি বীজতলা থেকে চারা তুলে আটি বেঁধে হাটে নিয়ে আসছেন। চাহিদা অনুযায়ী চারা পেয়ে ক্রেতারা খুশি, আর বিক্রেতারাও পাচ্ছেন ভালো দাম।

প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে কৃষকরা এ হাটে ধানের চারা কিনতে আসছেন। প্রতি আটি চারা ৭০ থেকে প্রকারভেদে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষকরা জানান, দাম হাতের নাগালে থাকায় তারা স্বস্তি বোধ করছেন।

মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর গ্রামের কৃষক রুহুল আমীন বলেন, “আমাদের এলাকায় পানির কারণে এ বছর রোপা আমনের চারা বপণ সম্ভব হয়নি। তাই এখানে এসে চারা কিনছি। দুই বিঘা জমির জন্য চারা নিচ্ছি, দামও নাগালের মধ্যে।”

সাতমোড়া গ্রামের কৃষক রফিউদ্দিন মিয়া বলেন, “বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা তুলে এনে বিক্রি করেন কৃষকরা। আমরাও কম দামে ভালো চারা কিনতে পারি। এজন্যই এখানে আসা।”

বিক্রেতারা জানান, বাজারে বিআর ধান-২২, ব্রিধান-৪৯, বিনাধান-৭, বিনাধান-১৭, ব্রিধান-৫০, খাসা, কাটারিভোগ, কালিজিরাসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বিক্রি হচ্ছে।

ইয়াছিন নামে এক বিক্রেতা বলেন, “বাঙ্গরা বাজারে নানা জাতের চারা পাওয়া যাচ্ছে। ইব্রাহিমপুর, রতনপুর থেকেও  কৃষকরা এসে চারা নিয়ে যাচ্ছেন। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।”

তাসকিনুজ্জামান নামে আরেক কৃষক জানান, “এবার চারার দাম ভালো। প্রতি বিঘা (৩০ শতাংশ) জমির জন্য ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা খরচ পড়ছে।”

কেবল নবীনগরই নয়, পাশের কসবা, দেবিদ্বার, মুরাদনগরের কৃষকরাও চারা কিনতে আসছেন এই হাটে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, “চলতি মৌসুমে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭৫০ হেক্টর। ইতিমধ্যে ৬৭৭০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে আরো কিছু জমিও আবাদ শেষ হবে। যেহেতু আমন মৌসুম বৃষ্টি নির্ভর সেহেতু এই চারার হাট এই অঞ্চলে রোপা আমন বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। কৃষি বিভাগ ভালো জাতের চারা উৎপাদনে সহযোগিতা করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়