শিরোনাম
◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি ◈ জুলাই সনদ ও গণভোটের সমাধান কোন পথে? ◈ ড.ইউনুসের গ্রামীণ নামে যা যা বানাইছেন সবকিছুর বিপদ আছে: কাদের সিদ্দিকী ◈ একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাস, আন্দোলন স্থগিত প্রাথমিক শিক্ষকদের ◈ ফুটবল ফেডা‌রেশন বিসিবির কাছে প‌রিচালক আসিফের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে  ◈ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের গ্যালারির টিকিট ৬ মি‌নি‌টেই শেষ ◈ দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে হরিয়ানায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার ◈ দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩, বহু হতাহত (ভিডিও) ◈ বিএনপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিরোধ সামলাতে 'নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের যাচাই' ◈ ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বাসে আগুন (ভিডিও)

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:৩৯ বিকাল
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুর সিমান্তে গত কয়েক দশক ধরে বন্যহাতি-আর মানুষের যোদ্ধ ও সংঘাত চলছে

তপু সরকার হারুন, জেলা প্রতিনিধি শেরপুর: আশির দশকের শেষ দিক থেকে এই সংঘাত শুরু হয়েছে এবং গত প্রায় ৩ যুগ ধরে তা বিদ্যমান। এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ হলো বন্য হাতির চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত অভয়াশ্রমের অভাব এবং মানুষের আবাসস্থল ও কৃষিজমি বন্য প্রাণীর বিচরণ ভূমিতে সম্প্রসারিত হওয়া। এর ফলে মানুষ ও হাতির মৃত্যু ছাড়াও ফসলহানি ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এই দ্বন্দ্বে ১৯৯০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত হাতির আক্রমণে প্রায়  শতাধিক মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে জানান মধুটিলা রেন্জ কর্ম্কর্তা দেওয়ান আলী ।  অপরদিকে, নানাভাবে হাতির মৃত্যু হয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক। এই মৃত্যুর মিছিলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নাম যুক্ত হয়ে দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা।

হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ফসলের মাঠে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে হাতির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। হাতি মৃত্যুর ঘটনায় ২০২১ সাল থেকে, ২০২৫ সাল পযর্ন্ত  ৪/৫ হাতি হত্যার অভিযোগে মামলা হলে চারজন কারাগারে যান। পরে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে ফাঁদ দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন ও স্থানীয় বন বিভাগ।
 
প্রাণীর জায়গায় মানুষের বাসস্থান হওয়ায় সংকটে পড়েছে প্রাণিকুল। তাই দ্রুত হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে অভয়ারণ্য, কাঁটাযুক্ত গাছ, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সার্বক্ষণিক সরবরাহ, বনের নিকটবর্তী বাসিন্দাদের হাতি তাড়াতে মশালের জন্য বিনা পয়সায় কেরোসিন সরবরাহের জন্য জোর দাবি জানান পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা।
 
শেরপুরের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল- আমিন, বলেন  হাতি আর মানুষের দ্বন্দ্বের জন্য মূলত মানুষই দায়ী। কারণ হাতি কিন্তু মানুষের আবাসস্থলে যায়নি। বরং মানুষই বন কেটে উজার করে সেখানে বসতি গেড়েছে। বন প্রাণীদের আবাসভূমি, সেখানে মানুষ আবাস গড়লে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে দ্বন্দ্বতো হবেই।
 
তিনি আরও বলেন, বনভূমির জবরদখল বন্ধ করে সেখানে হাতির পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা গেলেই একমাত্র হাতি আর মানুষের এই দ্বন্দ্ব নিরসন করা সম্ভব। হাতি ও মানুষের চলমান যুদ্ধ নিরসনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
 
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য মতে, গারো পাহাড়ের বাংলাদেশের ভিতর (ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে) প্রায় ৩ শতাধিক হাতি রয়েছে। হাতিকে রক্ষা করতে না পারলে একটা সময় এই ধীর প্রজননের প্রাণীটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়