মো. কামরুল ইসলাম, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ধৈঞ্চা অসাধারণ একটা উদ্ভিদ যা বাতাসের নাইট্রোজেন কে নিজের শিকড়ে সংরক্ষণ করতে পারে। তাছাড়া এর সবুজ পাতা, ডাল ও শিকড় মাটির সাথে মিশে হয় চমৎকার জৈব সার। যাকে বলা হয় সবুজ সার।
মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই ধৈঞ্চা হতে পারে অসাধারণ কার্যকরি চাষ। ধৈঞ্চার গাছ ৫০-৬০ দিন বয়স হলে মাটির সাথে ক্রাসিং করে দিতে হয়। কৃষকের অভিজ্ঞতা বলে এতে করে রাসায়নিক সার এর ব্যবহার অর্ধেক কমালেও ফসলের(ধানের) একই ফলন পাওয়া যায়। নবীনগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৬৫ হেক্টর জমিতে ধৈঞ্চা আবাদ হয়েছে।
ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের কৃষক কাউছার বলেন, জমি থেকে ধৈঞ্চা কেটে পুরো জমিতেই ছিটিয়ে লাঙল চালিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়। সপ্তাহের মধ্যেই জমিতে ধৈঞ্চা পচে মাটির সাথে মিশে যায়। উৎপাদন বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা রাখে।
উপজেলা কৃষি জমির প্রাণ ফেরাতে কৃষকরা নিয়মিত সবুজ (জৈব) সার হিসাবে ব্যবহার করতেন ধৈঞ্চা। কিন্তু কালের বিবর্তনে জমিতে হাইব্রিড ফসল আর রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় প্রায় উঠেই যাচ্ছে ধৈঞ্চার চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, ৫৫-৬০ দিনের ০১ হেক্টর আবাদি ধৈঞ্চা ২৫-৩০ টন সবুজ ধৈঞ্চা উৎপাদন করে যা থেকে ১০০-১৫০ কেজি নাইট্রোজেন পাওয়া যায় যা ২২০-২৬০ কেজি ইউরিয়ার সমান। তাছাড়া মাটির অনুজীবের বংশবিস্তারে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি, পানি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি, মাটির ভৌত ও রাসায়নিক গুণাগুনের উন্নয়ন সহ মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দারুণ কাজ করে সবুজ ধৈঞ্চা সার।