এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাত বিশ্ব ঐতিহ্যসুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের কচুয়ার মঘিয়া ইউনিয়নের চার'শ বছরের পুরনো স্থাপত্য যা বর্তমানে সনাতন সম্প্রদায়ের সার্বজনীন পিঠস্থান হিসেবে মাঙ্গলিক পূজা অর্চনা হয়ে আসছে। যেটি বর্তমানে মঘিয়া সর্বজনীন কালীবাড়ি ও শিববাড়ি মন্দির নামে পরিচিত।
৪০০ বছরের অধিক পুরাতন এই স্থাপত্যটি অযত্ন অবহেলা আর সংরক্ষণের অভাবে দিনের পর দিন এর প্রকৃত রূপ ও সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। গত এক বছর যাবত স্থানীয় সুধী জন ও সুশীল সমাজের সমন্বয়ে সনাতন সম্প্রদায় এই স্থানটিকে আবারো পুনর্জীবিত করে ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
এর ধারাবাহিকতায় প্রত্নতত্ত্ব হিসাবে গেজেট ভুক্ত করার জন্য তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর ৩ সদস্যের একটি টিম মঘিয়া সর্বজনীন কালীবাড়ি ও শিববাড়ি মন্দির পরিদর্শনে আসেন। বিকাল ৪ঃ০০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিনিধি টিমের সদস্যরা মন্দিরের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, এলাকাবাসী, স্থানীয় গণমাধ্যম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
এ সময় প্রতিনিধি টিমের সাথে উপস্থিত ছিলেন, মন্দির কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব স্বপন কুমার মন্ডল, মন্দির কমিটির সভাপতি শিক্ষক নিত্যরঞ্জন ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক আশিষ কুমার বিশ্বাস, শিক্ষক চিত্তরঞ্জন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার দাস, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কচুয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সূর্য্য চক্রবর্তী , সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম, নূপুর চৌধুরী, প্রশান্ত পাইক, শ্যামল ডাকুয়া, বিষ্ণু, তাপস মুখার্জী প্রমুখ।