হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় অপহরণের শিকার শেখ জামাল উদ্দিন (৩৬) নামে এক বিদেশগামী এজেন্সির কর্মচারীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল দল। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহরণকারী শফিকুল ইসলাম মাতুব্বর (৩৫) কে আটক করা হয়। সোমবার (৩০ জুন) ভোরে ভাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম আলগী এলাকার একটি পরিত্যক্ত খড়ের ঘর থেকে অপহৃত ব্যক্তিকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আটক শফিকুল ইসলাম মাতুব্বর ভাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম আলগী গ্রামের মনতাজ মাতুব্বরের ছেলে। আর উদ্ধার হওয়া শেখ জামাল উদ্দিন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বাগকুচি গ্রামের বাসিন্দা। তারা এক সময় দুজনেই বিদেশে ছিলেন। দেশে ফিরে শেখ জামাল ঢাকার একটি বিদেশ পাঠানোর এজেন্সিতে চাকরি নেন।
সেনা সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে শেখ জামালকে অপহরণ করে ভাঙ্গা উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং জামালকে মারধর করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর সেনা ক্যাম্পে ভুক্তভোগীর স্ত্রী নাসিমা আক্তার অভিযোগ করলে দ্রুত অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
ভোররাতে সেনাবাহিনীর ১৫ রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম আলগী এলাকার একটি খড়ের ঘরে অভিযান চালিয়ে অপহৃত জামালকে উদ্ধার এবং শফিকুলকে আটক করে। পরে তাকে ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেখ জামাল বিদেশে পাঠানোর কথা বলে শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি পূরণ না করায় শফিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে অপহরণের পরিকল্পনা করেন। শেখ জামালের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় দায়ের করা মামলার বাদী হয়েছেন তিনি নিজেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দুজিৎ মল্লিক বলেন, "আসামি শফিকুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।"
সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানানো হয়, এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক ও অপহরণের মতো অপরাধ দমনে সেনাবাহিনী জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। যেকোনো অপরাধ দমনে নাগরিকদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।