শিরোনাম
◈ সৌদি আরবকে হজের কোটা নিয়ে যে অনুরোধ করলেন ধর্ম উপদেষ্টার ◈ সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি আমানতের রেকর্ড: কারা পাচার করল, কীভাবে করল? ◈ যুদ্ধের মুখে ইসরায়েলের নাগরিকদের সুরক্ষা রাখে ‘মামাদ’ কৌশল ◈ গাজায় ‘মানবসৃষ্ট খরা’তে শিশুরা তৃষ্ণায় মৃত্যুর ঝুঁকিতে: ইউনিসেফের সতর্কবার্তা ◈ বাংলাদেশের এক বিভাগের চেয়েও ছোট আয়তনের ইসরায়েলের জনসংখ্যা কত? ◈ সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার ডিবি হেফাজতে, বেইলি রোড থেকে আটক ◈ এই ইসরায়েল হাসপাতালে ক্ষতির অভিযোগ করেছে, অথচ তারা গাজায় ৭০০ হাসপাতালে হামলা করেছে: এরদোয়ান ◈ তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে, শিগগিরই ফিরবেন: আমীর খসরু ◈ জাতিসংঘ মহাসচিবের হুঁশিয়ারি: সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে এমন আগুন জ্বলবে, যা কেউ থামাতে পারবে না ◈ আইআরজিসির কাছে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন খামেনি

প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০২৫, ০৫:০৩ বিকাল
আপডেট : ২০ জুন, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গৌরনদী’র তিনটি স্লুইসগেট কৃষকের গলার কাঁটা!

শামীম মীর গৌরনদী প্রতিনিধি : “ধান, নদী ও খাল এই তিনে বরিশাল।” চিরচেনা এই পরিচয়পত্রেই বারবার উঠে আসে দক্ষিণাঞ্চলের নদীমাতৃক বাস্তবতা। তবে নদী আর খাল থাকলেই তো হলো না, দরকার সঠিক ব্যবস্থাপনা। বলছি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার কথা। এখানে কৃষিকাজে উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রায় ১৪০০ হেক্টর কৃষি জমির সুবিধার্থে নির্মিত তিনটি স্লুইসগেট এখন কৃষকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার তিনটি স্লুইসগেটের একটিও কার্যকর অবস্থায় নেই। এর একটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে গয়নাঘাটা এলাকায়, অন্য দুটি যথাক্রমে বার্থী ইউনিয়নের সাউদের খাল (আনন্দপুর) এবং মাহিলাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত।

স্থানীয় বাসিন্দা মানিক শরীফ অভিযোগ করে বলেন, “এই স্লুইসগেটগুলোর একটি নব্বইয়ের দশকে, অন্যটি ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয়। বিশেষ করে আনন্দপুরে সাউদের খালের স্লুইসগেট ২০০৬ সালের নির্মিত হলেও এখন আর কোনো কাজেই আসে না। খালে যখন পানি দরকার হয়, তখন স্লুইসগেটের কপাট খোলা যায় না। ফলে খালে জোয়ার ভাটার পানি প্রবেশ করতে পারে না। বরং এখন সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বেশি হচ্ছে।”

এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখ বলেন, “উপজেলায় বোরো ও আমন মৌসুমে প্রায় ১৩,৩২০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। প্রাকৃতিকভাবে খালে জোয়ার-ভাটা থাকলে ফসল ফলাতে কোনো সমস্যা হয় না।”

গৌরনদী বিআরডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাহেব চৌধুরী বলেন, “খালে স্বাভাবিক পানির প্রবাহ না থাকায় পানি সচল রাখতে সরকারিভাবে দুটি সেচ প্রকল্প চালু আছে। এর একটি টরকী বন্দর লঞ্চঘাট এলাকায়, অপরটি মাহিলাড়ায়। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগেও শরিকল এলাকায় একটি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। খালে যদি জোয়ার-ভাটা স্বাভাবিক থাকত, তাহলে ডাবল লিফটিংয়ের প্রয়োজন হতো না।”

তিনটি স্লুইসগেটের বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, “তিনটির মধ্যে কেবল গয়নাঘাটার স্লুইসগেটটি অচল রয়েছে। মাহিলাড়া ও আনন্দপুরের স্লুইসগেট সচল আছে।”

তবে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ আর স্থানীয় কৃষকদের অভিজ্ঞতা বলছে ভিন্ন কথা। বাস্তবে এই তিনটি স্লুইসগেটই এখন কৃষিকাজে ব্যর্থ ভূমিকা পালন করছে। যার ফলে সরকারিভাবে নির্মিত এসব অবকাঠামো এখন জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

“অচল স্লুইস গেট মেরামত বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।”এ বিষয়ে জানতে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরীকে তথ্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়