ধামরাইয়ে কুরবানির জন্য প্রস্তুত ৫০হাজার গবাদিপশু
মো:আদনান হোসেন ধামরাই ঢাকা থেকে: আসন্ন ঈদুল আজাহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ধামরাইয়ের খামারিরা। কোরবানির জন্য দেশি-বিদেশি, শংকরজাতের গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করেছেন তারা। পশু মোটাতাজাকরণে নিচ্ছেন বাড়তি যত্ন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, দপ্তরের নির্দেশিত উপায়ে মোটাতাজাকরণ করায় কোরবানির পশুর মাংস নিরাপদ। আসন্ন ঈদুল আজাহাকে সামনে ধামরাইয়ে কুরবানির জন্য ৫০হাজার ১৫৯টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা থেকে প্রায় ১৫হাজার বেশি।
উদ্বৃত্ত এই সব পশু রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন আঞ্চলের কুরবানির চাহিদা পুরণের সহায়ক হবে। দাম নিয়ে আশাবাদি রয়েছে ধামরাইয়ের খামারীরা।
ধামরাই উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ধামরাই উপজেলার কয়েক হাজার খামারী ও কৃষক এই বছর কুরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে গাভী/বকনা গরু ১হাজার ২৯৩টি,ষাঁড় গরু রয়েছে ২৯হাজার ৮৪১টি গরু, মহিষ রয়েছে ৩৮টি, ছাগল ১৬হাজার ৯১২টি এবং ভেড়া রয়েছে ২হাজার ৭৫টি। ধামরাই উপ জেলায় স্থানীয়ভাবে পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫হাজার।
উপজেলায় কয়েক হাজার খামারী ও কৃষক এই বছর কুরবানির জন্য ৫০হাজার ১৫৯টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৩১হাজার ১৩৪টি গরু, ৩৮টি মহিষ, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ১৮হাজার ৯৮৭টি। স্থানীয়ভাবে এবাওে ধামরাই উপজেলায় চাহিদা ধরা হয়েছে ৩৫হাজার। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। এবারে ৫শ থেকে ৬শ কোটি টাকার পশু বিক্রি হবে বলে ধারনা করছে ধামরাই উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান।
গরু পালন ধামরাইয়ের ঐতিহ্য। আসন্ন করবানি উপলক্ষে প্রাকৃতিক উপায়ে ও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন পালন এবং মোটাতাজা করেছে উপজেলার খামারীরা। লাভের আশায় শেষ মূহুর্তে পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেছে খামারী ও কৃষকরা।
গৃহস্থের দাবি, ব্যাপারীরা গরু দাম হাঁকছেন কম। ব্যাপারীরা বলছে পশু অনুযায়ী গৃহস্থরা দাম চাচ্ছেন বেশি। তবে এবার ভারতীয় গরু আমদানীর শষ্কা নেই। তাই আগের চেয়ে কাষ্কিত দাম পাবেন বলছেন গৃহস্থ ও ব্যাপারীরা। খামারীরা সর্বক্ষণ পশুকে পর্যবেক্ষণ করছে। সেই সাথে গরুর গোসল,কাঁচা ঘাস সংগ্রহ এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করছে। এছাড়া নিয়মিত গরুর শারীরিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা। তবে আগের চেয়ে গোখাদ্যের পাশাপাশি চিকিৎসার খরচ, ঔষুধ লালন-পালন ব্যায় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
মোঃ জাকির হোসেন নামে এক গরু পালনকারী বলেন, আমাদের খামারে এবারের কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে প্রায় ১০০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা একেকটি বাছুর ৩৫হাজার টাকা কওে কিনেছি। এখন ব্যাপারীরা একেকটি গরু দেড় লাখ থেকে দুই রাখ টাকা দাম বলছে ব্যাপারীরা। তবে আমরা আশা করছি দাম আরো উঠবে।
এই বিষয়ে ধামরাই শিংশ্রী এলাকার সুপ্রিম এগ্রো ম্যানেজার মোঃ শামীম হোসেন জানান, ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিজস্ব খামারে প্রাকৃতিক পরিবেশে ছোট বড় প্রায় ২০০টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। ইতি মধ্যে বিভিন্ন লোকজন খামারে গরু দেখার জন্য আসছে। আমাদের গরুর দাম ধরা হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতিটি গরু ওজন দিয়ে বিক্রি করা হয়। আগের চেয়ে গো-খাদ্যের পাশাপাশি চিকিৎসার খরচ, ঔষুধ লালন-পালন ব্যায় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ধামরাই উপজেলায় কুরবানীর জন্য ৫০হাজার ১৫৯টি গর,মহিষ ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এদে মধ্যে গাভী/বকনা গরু ১হাজার ২৯৩টি, ষাঁড় গরু রয়েছে ২৯হাজার ৮৪১টি গরু, মহিষ রয়েছে ৩৮টি, ছাগল ১৬হাজার ৯১২টি এবং ভেড়া রয়েছে ২হাজার ৭৫টি। তবে নেপালি, অস্টেলিয়ান, ফ্রিজিয়ান, হরিয়ানাসহ নানা জাতের গরু ছাড়াও দেশীজাতের গরুও রয়েছে। এবার ধামরাই উপজেলার চাহিদা রয়েছে ৩৫হাজার। বাকি গরু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। এবার ধামরাইয়ে ৫শ থেকে ৬শ কোটি টাকার পশু বিক্রি হবে। যা আগের তুলনায় অনেক বেশি।