শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০২৫, ১১:১০ দুপুর
আপডেট : ০১ জুলাই, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অপার সৌন্দর্যের প্রতিক জারুল ফুল

মাহবুব সৈয়দ(পলাশ)নরসিংদী প্রতিনিধি : ষড়ঋতুর এই দেশে ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন সজ্জায় সাজে প্রকৃতি। বর্তমানে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে ফল-ফুলের ব্যাপক সমারোহ। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে প্রকৃতির নজরকাড়া আরেক সৌন্দর্য জারুল ফুল। প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে নরসিংদীর পলাশের আনাচে কানাচে রয়েছে জারুল গাছ।

জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলে প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলে। এই ফুল সবারই নজর কাড়ছে প্রতিনিয়ত। গাছটির আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায়। ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ জারুল। তবে বাংলাদেশ সহ চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে এই বৃক্ষের দেখা মিলে। গ্রীষ্মের শুরু থেকে এই ফুল শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয় ও বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। এই গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়। গাছটির নানা ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। 

তবে নানা কারণে প্রকৃতি থেকে বিলীন হওয়ার পথে এই গাছ। প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে উপজেলার টেঙ্গরপাড়া, পাইকসা, দলাদিয়া, ক্ষুদ্রাবন, দিগদা, লেবুপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় জারুল ফুল। যার বেগুনি ফুলের সৌন্দর্য প্রতিটি পথচারীর নজর কাড়ে। তবে গাছটি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার এমনটিও জানিয়েছেন অনেকেই।
পলাশ সেন্টাল কলেজের অধ্যাপক মোঃ মেজবাহ্ধসঢ়; উদ্দিন ভূইয়া বলেন, প্রতি বছর গ্রীস্মকাল জারুল ফুলের অনন্য শোভা যেকোন মানুষকে বিমোহিত করবেই। বর্তমানে এই জারুল বৃক্ষটি ব্যাপকহারে কর্তনের ফলে আগের মতো আর চোখে পড়েনা। অথচ এই জারুল ফুল আবহমান বাংলার এক অপরূপের সাজের মনিহার ছিলো।ছোটবেলায় জারুল ফুল ছিলো শিশু কিশোরদের খেলার সাথী। সারাদিন যেন জরুলের সাথে ছিলো মিতালী।

জারুল বৃক্ষটি সংরক্ষনে সরকারের এগিয়ে আসা উচি ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক বোরহান মেহেদী বলেন, বৈশাখ মাসে গ্রামগঞ্জসহ রাস্তার ধারে জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলেল প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলছে। চমৎকার এই ফুল সবারই নজর কাড়ছে প্রতিনিয়ত। জারুল গাছের বেগুনি রঙের ফুলে মনোমুগ্ধকর এক আবেশ তৈরি হয়। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য দেখতে খুবই ভালো লাগে, যদিও বর্তমানে জারুল গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাই সড়কের দুই পাশসহ বিভিন্ন স্থানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই গাছটি বেশি করে রোপণ করা খুবই জরুরি।

এই বৃক্ষটি বর্ষা মৌসুমের আগে গ্রীস্মের এক নান্দনিক প্রকৃতির উপহার।গ্রামবাংলার নান্দনিকতা অরূপ শোভা। এটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছও। নয়নাভিরাম এই গাছের বিস্তৃতি আমাদের দেশকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তোলে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়