শিরোনাম
◈ টাকা ফেরাতে আইন, প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে সরকার ◈ দুর্বৃত্তের হামলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত ◈ যেসব এলাকায় বুধবার বিদ্যুৎ থাকবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি ◈ ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধে কড়া বার্তা: তিন রিকশা ভাঙচুর, চালকদের ক্ষতিপূরণ ও বিকল্প আয়ের আশ্বাস ◈ যে কারণে বাংলাদেশে বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিলো কলকাতার অভিনেতা শাশ্বতকে! (ভিডিও) ◈ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার : প্রেস সচিব ◈ আ. লীগের নিবন্ধন বাতিলের পর সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি উঠেছে, নেতারা এখন কি করবে?  ◈ প‌রি‌স্থি‌তি স্বাভা‌বিক, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের নতুন সূচি প্রকাশ ◈ ভারত আবার বাড়াবা‌ড়ি কর‌লে আমরা চুপ থাকবো না: শহীদ আফ্রিদি ◈ ভারত শাসিত কাশ্মীরে আবারও বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৩

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০২৫, ১১:১০ দুপুর
আপডেট : ১৪ মে, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অপার সৌন্দর্যের প্রতিক জারুল ফুল

মাহবুব সৈয়দ(পলাশ)নরসিংদী প্রতিনিধি : ষড়ঋতুর এই দেশে ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন সজ্জায় সাজে প্রকৃতি। বর্তমানে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে ফল-ফুলের ব্যাপক সমারোহ। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে প্রকৃতির নজরকাড়া আরেক সৌন্দর্য জারুল ফুল। প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে নরসিংদীর পলাশের আনাচে কানাচে রয়েছে জারুল গাছ।

জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলে প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলে। এই ফুল সবারই নজর কাড়ছে প্রতিনিয়ত। গাছটির আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায়। ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ জারুল। তবে বাংলাদেশ সহ চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে এই বৃক্ষের দেখা মিলে। গ্রীষ্মের শুরু থেকে এই ফুল শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয় ও বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। এই গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়। গাছটির নানা ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। 

তবে নানা কারণে প্রকৃতি থেকে বিলীন হওয়ার পথে এই গাছ। প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে উপজেলার টেঙ্গরপাড়া, পাইকসা, দলাদিয়া, ক্ষুদ্রাবন, দিগদা, লেবুপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় জারুল ফুল। যার বেগুনি ফুলের সৌন্দর্য প্রতিটি পথচারীর নজর কাড়ে। তবে গাছটি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার এমনটিও জানিয়েছেন অনেকেই।
পলাশ সেন্টাল কলেজের অধ্যাপক মোঃ মেজবাহ্ধসঢ়; উদ্দিন ভূইয়া বলেন, প্রতি বছর গ্রীস্মকাল জারুল ফুলের অনন্য শোভা যেকোন মানুষকে বিমোহিত করবেই। বর্তমানে এই জারুল বৃক্ষটি ব্যাপকহারে কর্তনের ফলে আগের মতো আর চোখে পড়েনা। অথচ এই জারুল ফুল আবহমান বাংলার এক অপরূপের সাজের মনিহার ছিলো।ছোটবেলায় জারুল ফুল ছিলো শিশু কিশোরদের খেলার সাথী। সারাদিন যেন জরুলের সাথে ছিলো মিতালী।

জারুল বৃক্ষটি সংরক্ষনে সরকারের এগিয়ে আসা উচি ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক বোরহান মেহেদী বলেন, বৈশাখ মাসে গ্রামগঞ্জসহ রাস্তার ধারে জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলেল প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলছে। চমৎকার এই ফুল সবারই নজর কাড়ছে প্রতিনিয়ত। জারুল গাছের বেগুনি রঙের ফুলে মনোমুগ্ধকর এক আবেশ তৈরি হয়। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য দেখতে খুবই ভালো লাগে, যদিও বর্তমানে জারুল গাছের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। তাই সড়কের দুই পাশসহ বিভিন্ন স্থানে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই গাছটি বেশি করে রোপণ করা খুবই জরুরি।

এই বৃক্ষটি বর্ষা মৌসুমের আগে গ্রীস্মের এক নান্দনিক প্রকৃতির উপহার।গ্রামবাংলার নান্দনিকতা অরূপ শোভা। এটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছও। নয়নাভিরাম এই গাছের বিস্তৃতি আমাদের দেশকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তোলে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়