কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৬-৭ বছর বয়সী একটি হাতির শাবককে মেরে মাটির নিচে পুঁতে ফেলার খবর পাওয়া গেছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে হাতিটিকে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডাক্তার ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পোষ্টমার্ডাম শেষে আবারো মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলার পুইছুড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পুইছুড়ি বচিরা বাপের বাড়ি এলাকার মধ্যম জিরি চিতা খোলা পাহাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় পুইছুড়ি পান চাষি সমবায় সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমি মঙ্গলবার সকাল বেলা আমার বাড়ি ভিটার পূর্ব সীমানায় একটি আম গাছ ভেঙে পড়ায় আমি দেখতে গেলে সেখানে দেখি একটা বিশাল মাটির পাহাড়, উপরে ঘাস দেওয়া হয়েছে। বা কারা একটি হাতির শাবককে মেরে মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে হাতির শাবকটিকে মারা হয়েছে। তখন আমার সন্দেহ হলে আমি তাৎক্ষণিক বন বিভাগকে জানিয়ে দিয়। পরবর্তীতে তারা এসে মাটি খুঁড়ে দেখতে হাতিটির মৃত দেহ উদ্ধার করে। এরপর চকরিয়ার দুলহাজারা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. হাতেম মো. জুলকারনাইন (মানিক) , বাঁশখালী প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. শাহজাদা মো. জুলকারনাইন (শাওন) হাতির শাবকটি ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। তারা বলেন, হাতিটার বয়স আনুমানিক ৬-৭ বছর ছিল। মাদী হাতিটাকে ইলেকট্রনিক শক দিয়ে ৫-৬ দিন আগে মারা হয়েছে। তারপর মৃত হাতিটি পলিথিন দিয়ে পেছিয়ে মাটি চাপা দেওয়া হয়। যাতে মৃত্যু হাতিটির দূর্গন্ধ লোকালয়ে চলে না আসে।
জলদী অভয়ারন্য (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ) জলদী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, স্থানীয়রা খবর দিলে ভেটেরিনারি চিকিৎসক টিম হাতির শাবকটির ময়নাতদন্ত করে। হাতিটির বয়স ৬-৭ বছর হতে পারে। ময়নাতদন্তদের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য বাঁশখালীর পাহাড়ি এলাকায় বেশ কয়েকটি হাতি নানা কারণে নানা ভাবে মৃত্যুবরণ করে । যা পরিবেশ কর্মীদের মতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেন।