শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৮:১৩ রাত
আপডেট : ১০ মে, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মোয়াজ্জিনকে গুলির ঘটনায় ওসির বিরুদ্ধে মামলা

শাহাজাদা এমরান,কুমিল্লা অফিস : ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বেলাল হোসেন নামে মসজিদের মোয়াজ্জিনকে বাড়ি থেকে তুলে এনে পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়ার অভিযোগে নাঙ্গলকোট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের নামে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী উপজেলার দৌলখাড় ইউনিয়নের বাম গ্রামের বেলাল হোসেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী মোয়াজ্জিন বেলাল হোসেন নাঙ্গলকোট উপজেলার দোলখাড় ইউনিয়নের বাম পন্ডিতবাড়ির আলী হায়দারের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও বেলাল হোসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত। বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে তিনি সকল মামলায় জামিনে রয়েছেন।

ভুক্তভোগী মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি মধ্যরাতে বাড়ি থেকে পুলিশ আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় বেলায়েত হোসেন নামে আরও একজনসহ নাঙ্গলকোটের লুধুয়া নামক স্থানে নিয়ে নাঙ্গলকোট থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম দুই পুলিশ সদস্যকে আমাদের পায়ে গুলি করতে বলেন। তারা গুলি করতে রাজি না হলে ওসি নজরুল ইসলাম নিজেই আমাদের দুজনেরই বাম পায়ের হাঁটু বরাবর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। পরবর্তীতে আমাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় এক বছর কারাভোগ করতে হয়েছে।

বেলাল হোসেন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকাকালীন উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে ঢাকায় রেফার করা হলেও ওসি নজরুল ইসলাম তা হতে দেননি। যে কারণে চিকিৎসার অভাবে আমার গুলিবিদ্ধ পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার প্রেক্ষিতে আমি তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ৭ সদস্য, নাঙ্গলকোট উপজেলার তৎকালীন চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রসহ মোট ৩১জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছি। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১০ / ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমি আশা করছি ন্যায় বিচার পাব।

মামলার আইনজীবী এডভোকেট বদিউল আলম সুজন বলেন, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আমরা আশা করছি বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নির্দেশনা দেবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়