শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০৭ বিকাল
আপডেট : ০১ মে, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালো স্বামী, পরিবারের দাবী হত্যা

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্ত্রী রিক্তা বেগমের (২৯) মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়েছেন স্বামী জাকির মোল্লা(৩৭)। 
 
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে পরিবারের সদস্যরা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিহত রিক্তা বেগমের মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত রিক্তা বেগম উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের পাঁচকুল গ্রামের আজিজ শিকদারের মেয়ে। জাকির মোল্লা পাশ্ববর্তী দীঘলকান্দা গ্রামের আনোয়ার মোল্লার ছেলে।
 
নিহতের বোন হাফিজা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১২ বছর পূর্বে আমার বোন রিক্তার দীঘলকান্দা গ্রামের জাকির মোল্লার সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ দেওয়া হয়। বিবাহের পর থেকে জাকির মোল্লা সহ তার পরিবারের লোকজন। বিভিন্ন সময় তাকে অত্যাচার, নির্যাতন করতো। গত সোমবার(১০ মার্চ) দুপুরে রিক্তাকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে ঘরে আটকিয়ে রাখে। পরে ওইদিন প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে গোপনে রিক্তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। রিক্তা মারা যাওয়ার পর তার মরদেহটি হাসপাতালে ফেলে রেখে তার স্বামীসহ পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়। এরপর আত্মগোপনে থেকে মঙ্গলবার দুপুরে জাকির মোল্লা আমাদেরকে মোবাইল ফোনে জানায়, রিক্তা বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আপনারা ফরিদপুর হাসপাতালে আসেন। পরে আমরা ফরিদপুর মেডিকেলে গিয়ে রিক্তার মরদেহ দেখতে পাই। নিহতের শরীরের পেটে, মাথায়, হাতে, কানে সহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ আমার বোনকে জাকির ও তার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করছে। আমরা এর বিচার দাবি করছি। 
 
এ ব্যাপারে জাকির মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজন আত্মগোপনে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল নাম্বারটাও বন্ধ পাওয়া যায়। 
 
এ বিষয়ে বুধবার ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, বুধবার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এলাকায় পুলিশ পাঠানো হবে। তাছাড়া এ বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়