শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:১৭ বিকাল
আপডেট : ০৯ মে, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে প্লাস্টিকের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের তৈরি পণ্য

সনত চক্র বর্ত্তী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় আদিযুগ থেকে গৃহস্থালির কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল বাঁশের তৈরি কুলা, চালন, ঝুড়ি, সাজি, থামা, গোলা, মাথাল ও পলোসহ বাহারি রকমের টেকসই পণ্য। তবে প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যের ভীড়ে বর্তমানে বাজারে বাঁশের তৈরি করা এসব সামগ্রীর চাহিদা দিনদিন কমে যাচ্ছে। এতে কুটিরশিল্পের সাথে জড়িত সালথা উপজেলা সদরের সাহাপাড়া গ্রামের কয়েকটি পরিবার ধুকছেন অর্থনৈতিক সংকটে। যে কারণে তাদের মধ্য থেকে অনেকে পেশা বদল করে ফেলেছেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে সালথা সাহাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ থেকে চটা বের করে নিপুন হাতের কারুকাজে স্বপ্ন বুনছেন ঋষি সম্প্রদায়ের কৃষ্ণ দাস, প্রভাস দাস, রানী দাস ও অনামিকা দাস। কৃষিনির্ভর এলাকাটিতে তারা বারোমাসই এই পণ্য তৈরি করেন। এতে তারা বর্তমানে কস্টের দাম না পেলেও বংশপরম্পরায় বাঁশের পণ্য বানানো তাদের একটি নেশা। তাই এখনো মনের মাধুরি মিশিয়ে কুটিরশিল্পের বুনন কাজটি তাদের করতে দেখা গেছে।

ঋষি সম্প্রদায়ের কৃষ্ণ দাস, রানী দাস ও অনামিকা দাস বলেন, যুগ যুগ ধরে বাঁশের কুলা-ডালা ও চালনসহ নানা ধরণের পণ্য নিজেদের হাতে তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলাম আমরা। কিন্তু বাজারে প্লাস্টিকের পণ্যের দাম কম হওয়ায় ও বাঁশের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের তৈরি পণ্যের কদর দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে অনেক পরিবার শখ করে বাঁশ দিয়ে তৈরি কিছু পণ্য গৃহস্থালির কাজের ব্যবহার করছেন, তাই এখনো এ শিল্পীটি টিকে আছে। এমন অবস্থায় আমরা তেমন ভাল নেই। খেয়ে না খেয়ে আমাদের জীবন চলছে।

সরকার যদি আমাদের পুজির ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে আমরা অন্য ব্যবসা করে একটু ভালভাবে চলতে পারবো। অনেকে বলছেন, বাজারে প্লাস্টিকের সামগ্রীর সরবরাহে বন্ধ থাকলে, পরিবেশবান্ধব এসব পণ্য টিকে থাকবে, বেঁচে থাকবে ঋষি সম্প্রদায়ের এসব জীবন জীবিকা।

ফরিদপুর বেসিকের উপ-মহাব্যস্থাপক মানছুরুল করিম বলেন, বর্তমান সরকার যেহুত প্লাস্টিক পণ্য ও পলিথিন ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরাও প্লাস্টিক পণ্য পরিহার করে শিল্পবান্ধব দেশীয় বাঁশের পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করার জন্য এ শিল্পের সাথে জড়িতদের উৎসাহিত করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়