শিরোনাম
◈ করোনার পর এবার ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ ◈ লটারিতে নির্ধারিত ৬৪ জেলার এসপি: সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের নতুন উদ্যোগ ◈ মোহাম্মদপুরে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা গুরুতর আহত ◈ জাতীয় অর্থনীতি ও কৌশলগত সম্পদে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু জনগণের নির্বাচিত সরকারের: তারেক রহমান ◈ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কে যা বললেন আইনজীবী পান্না ◈ দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা: ৯০% বাংলাদেশি উচ্চ ঝুঁকিতে ◈ নতুন আইনে বাতিল হচ্ছে অসংখ্য দলিল, রয়েছে জেল ও অর্থদণ্ড ◈ পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল: পাসপোর্টের নতুন নিয়মে চমক ◈ আনন্দ বেদনার নারী কাবাডি বিশ্বকাপের পর্দা নাম‌লো ◈ মব ভাইরাসের তাণ্ডবে অতিষ্ট দেশ: ইসলামী বক্তা তাহেরী (ভিডিও)

প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:০৯ বিকাল
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাতৃত্বকালীন ছুটি বাতিল, বেতনের টাকা ফেরত নিয়ে গেলেন অধ্যক্ষ

আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ধর্মপুর গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) শারমিন আক্তারের মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়ের প্রাপ্ত বেতন-ভাতার টাকা ফেরত নিয়েছেন অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন। তবে টাকা ফেরত নেওয়ার দেড় বছর পার হলেও ব্যাংকে জমা দেওয়ার রশিদ দেননি ওই শিক্ষিকাকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও শিক্ষিকা ২৯ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পেয়ে ওই মাদ্রাসায় ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন। সেই বছরের ১ মার্চ থেকে এমপিওভুক্ত হন। যোগদানকালীন তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন বলে ওই বছরের ৮ ফেরুয়ারি থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। এরপর অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল জানান আমার মাতৃত্বকালীন ছুটি গ্রহণ বৈধ হয়নি বিধায় আমার ৬ মাসের গৃহীত বেতন-ভাতা ফেরত দিতে হবে। 

এমতাবস্থায় তিনি আমার বাড়িতে গিয়ে আমার কাছ থেকে ১ লাখ ৪ হাজার টাকা নেন। আমি নিজে সেই টাকা ফেরত দিতে চাইলে তিনি জানান টাকাটি অধ্যক্ষ মারফতই ফেরত দিতে হবে। আমি মাদ্রাসার প্রভাষক মো. রেজাউল করিম স্যারের উপস্থিতিতে তাকে টাকা দিই। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে টাকা ফেরত প্রদানের চালানের কপি চাইলে তিনি তা এখন পর্যন্ত আমাকে দেন নাই। বরং তা দিতে আরও ৬ মাস সময় প্রয়োজন বলে জানান।

শিক্ষিকা শারমিন আক্তার বলেন, বহুবার জমার রশিদটি চাওয়ার পরও না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি অভিদপ্তরে অভিযোগ করি।   অধিদপ্তর থেকে সাত দিনের মধ্যে রশিদটি  দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। তারপরও আমাকে রশিদটি দেওয়া হয়নি। সেকারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পুনরায়  অভিযোগ করেছি। আমি আমার টাকা ফেরত চাই, ন্যায় বিচার চাই।   

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বলেন, ছুটিটি বিধি মতাবেক না হওয়ায় টাকা ফেরত নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি ব্যাংকে জমা দিয়েছি।  জমার ব্যাংক রশিদ মাদ্রাসায় আমার ব্যক্তিগত ড্রয়ার আছে।  স্থানীয় লোকজন ও কিছু শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মাদ্রাসায় যেতে দিচ্ছে না। সে কারণে আমি রিসিভটি শিক্ষিকাকে দিতে পারছিনা। দু-একদিনের মধ্যে মাদ্রাসায় গিয়ে রশিদটি অভিযোগকারী শিক্ষিকাকে ফেরত দেব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, উনার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ অধিদপ্তরেও আছে। আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে, সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়