শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:৩৯ বিকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাঞ্ছারামপুরে স্বামীকে ১১ টুকরো করলেন স্ত্রী, ৪ দিন পর মরদেহ উদ্ধার

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : পারিবারিক কলহের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে স্বামীকে হত্যা করে পলিথিনে মোড়ানো  ১১ টুকরা করে সেফটি ট্যাঙ্কিতে লুকিয়ে রাখার চারদিন পর লাশ উদ্ধার করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ। এই ঘটনায় বুধবার দুপুরে নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফুর রহমান রুবেল বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম, তার মেয়ে লাকীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুন মিয়া। নিহতের বাবার নাম সুরুজ বেপারী। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রামের মধ্যপাড়ার অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রী মৃত্যুর পর ৩৫ বছর আগে দ্বিতীয় বিবাহ করেন একই গ্রামের মোমেনা বেগমকে। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চরম আকার ধারণ করে। একপর্যায়ে অরুন মিয়া তার প্রথম স্ত্রীর সস্তান রুবেলের কাছে ঢাকায় গাজীপুরে চলে যান।

এদিকে অরুন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে কর্মরত অবস্থায় মারা যান দেশে এনে তার লাশ দাফন করা হয়। তার বিদেশ যাওয়ার সময় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেনা থাকায় পরবর্তীতে অরুন মিয়া তার জমি বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করেন। গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে অরুণ মিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান লুৎফুর রহমান রুবেল থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরী করেন। গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অরুণ মিয়ার পার্শ্ববর্তী বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে ভিতরে পলিথিনে মোড়ানো কিছু দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ সেফটি ট্যাঙ্কির পানি সেচে নয় টুকরো পলিথিনে মোড়ানো অংশ উদ্ধার করে। এটা অরুণ মিয়ার লাশ বলে তার ছেলে শনাক্ত করে।

অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর সন্তান লুৎফুর রহমান রুবেল জানান, আমার ছোট মা বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমার আপন মা মারা গেছে ৩৫ বছর আগে। আমার বাবা ২০১৭ সাল থেকে টানা আমার কাছে ছিল। কয়েক মাস আগে আমার প্রতিবেশী চাচারা বিষয়টি মিটমাট করে দিলে  ছোট মায়ের সাথে বাবা থাকা শুরু করে। 

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত সুজন কুমার পাল জানান, পারিবারিক কলহের জেরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা তাকে মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। মোমেনা চাপাতি (টাকশাল) দিয়ে লাশ টুকরো টুকরো করে নয়টি পলিথিনে বেঁধে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে ফেলে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়