রতন কুমার রায়,ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারী-১ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারসহ ডোমার উপজেলার ৩১জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো দুই তিনশত জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২৯সেপ্টেম্বর রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি রবিউল ইসলাম। উক্ত মামলাটি এফআইআর এর জন্য ডোমার থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আমলী আদালত ডোমার এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের নির্বাচন বাধাগ্রস্থ, নেতাকর্মীদের হেনাস্তা, সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি করে জন নিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে 'আগুন খোয়া বাহিনী' নামের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘœ ঘটায়। এমতাবস্থায় গত ২৩ডিসেম্বর ২০১৮ইং সালে প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নির্বাচনী জনসভা ও গাড়ী বহরে সাবেক সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিনের নির্দেশে 'আগুন খোয়া বাহিনী'র কয়েকশত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র দ্বারা হামলা করে। এ সময় প্রার্থী রফিকুল ইসলামসহ তার সাথে থাকা নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হয়। হামলায় একটি কারে অগ্নিসংযোগ করে ৩টি মাইক্রোবাস, ২২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে মোট ৩৩লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
মামলায় উল্লেখিত আসামীরা হলেন, নীলফামারীর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার(৭৫), জোড়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হাবিব বাবু(৪৫), সাবেক ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ(৫৫), উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন(৬০), সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরকার ফারহানা আক্তার সুমি(৩৫), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক(৪৮), বোড়াগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমুন(৫২), হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা(৪৫), পৌর আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক ময়নুল হক(৫৩), সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চৌধুরী(৫৫), ডোমার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ(৩৭), জোড়াবাড়ী আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এহতেশামুল হক(৩৮), জোড়াবাড়ী বেতগাড়া এলাকার নাজিরুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম(৪৭), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনজুর আহমেদ ডন(৪৮), যুবলীগ নেতা রফিকুজ্জামান রুবেল (৪৭), আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান রুবেল(৫১), যুবলীগ নেতা গনেশ কুমার আগরওয়ালা(৪৭), আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুর আলম নাহিদ (৪৫), ছাত্রলীগ নেতা মনির(৩০), সাবেক গোমনাতী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ(৫২), ডোমার ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের ছাবেদ আলী মালির ছেলে আলমগীর হোসেন(৪০), ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজুর রহমান বকুল প্রামানিক(৫৫), মুক্তিরহাট এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে শফিকুল ইসলাম দুলু(৬২), ভোগডাবুড়ী এলাকার নিজামউদ্দিন সরকারের ছেলে ইউনুস আলী(৬০), রফিকুল ইসলামের ছেলে আহসান হাবিব শাওন(২৮), মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আরিফুল ইসলাম(৩০), বেতগাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩০), মশিয়ার রহমানের ছেলে লাবু ইসলাম(৪২), মৃত আব্দুল মুন্সীর ছেলে মোখলেছার রহমান(৪২), ছাকাত আলী তুলার ছেলে মনোয়ার হোসেন(৩৭), মফিজার রহমানের ছেলে মামুন ইসলাম।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন বাদী রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, নীলফামারী আদালতে সাবেক এমপি আফতাবকে ১নং আসামী করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আইনজীবী জানান, নীলফামারী-১ আসনের সাবেক এমপিসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করতে ডোমার থানাকে নির্দেশ দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :