শিরোনাম

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৩০ রাত
আপডেট : ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেনাপোল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম দেরিতে হওয়ায়  হয়রানি পাসপোর্টধারীরা

বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি : বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতে অফিসিয়াল কার্যক্রম ভোর সাড়ে ৬ টার পরিবর্তে সকাল ৭ টার পরে  শুরু হওয়ায় পাসপোর্টধারীরা হয়রানি ও দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে। গত ০৫ আগস্টের পর থেকে এ অবস্থা চললেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কোন পদক্ষেপ নাই সংশিষ্টদের। এ দিকে ভারত ভ্রমনে দিন দিন ভ্রমন করের পরিমার বাড়লেও সেবা বঞ্চিত হওয়ায়  ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাসপোর্টধারীরা।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে। বর্তমানে ভিসা ব্যাবস্থায় নানা প্রতিবন্ধকতায় যাত্রীর সংখ্যা কমে দিনে ৪ থেকে ৫ হাজারের ঘরে থাকলেও স্বাভাবিক সময়ে এর পরিমান ছিল  ১০ থেকে ১২ হাজার ।  পাসপোর্টধারী যাত্রী বেনাপোল পৌছানোর পর প্রথমে তাকে ১০৫৫ টাকা দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ভ্রমন ও পোর্ট  ট্যাক্স কাটতে হয়। পরে কাস্টমসে যাত্রীর সাথে থাকা ল্যাগেজ চেকিং করিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে ভারতে ঢুকতে হয়। বছরে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী পাসপোর্টধারীদের কাছ থেকে ভ্রমন কর বাবদ বাংলাদেশ সরকার  প্রায় ১৫০  কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকার ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি আয় করে থাকে। 

চেকপোষ্টে যাত্রীপারাপার শুরু হতো আগে ভোর সাড়ে ৬ টায়। শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়।  সাম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগষ্টের পর অন্তবর্তকালিন সরকার  ক্ষমতা গ্রহনে মামলা হয় নানান অপরাধীদের বিরুদ্ধে। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় ইমিগ্রেশনে। পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সরকারী গোয়েন্দা সংস্থ্যাগুলো সন্দেহ ভাজন পাসপোর্টধারীকে জিজ্ঞাসাবাদের  পর ভারতে প্রবেশের অনুমতি হচ্ছে। এতে এমনিতেই দির্ঘ সময় লাগছে যাতায়াতে। এর পর আবার নানান অযুহাত দেখিয়ে পাসপোর্টধারীদের কার্যক্রম ভোর সাড়ে ৬ টার পরিবর্তে সকাল ৭ টার পরে শুরু করায় যাত্রী ভোগান্তি বেড়েছে।  ভোর সাড়ে ৩ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত প্যাছেজ্ঞার টার্মিনালে সামনে রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাত্রীদের দাড়াতে হচ্ছে। পুনরায় ভোর সাড়ে ৬ টায় পাসপোর্টধারীদের কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

পাসপোর্টধারী রাজিব,রহমত ও মৌসুমী আক্তার জানান, দেরিতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রমে প্রচন্ড গরম আর রোদ,বৃষ্টির মধ্যে দির্ঘক্ষন অপেক্ষা অনেক কষ্টকর। ভ্রমন কর দিন দিন বাড়ালেও যাত্রীদের বাথরুম বা বিশ্রামের সুযোগ নাই। হয়রানি তো আছেই।  এসব থেকে পরিত্রান চাইছি।
 
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাছেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ জানান,বন্দর খুলছে ভোর সাড়ে ৬ টার মধ্যে। তবে কাস্টমস,ইমিগ্রেশন সহ অনান্য যারা পাসপোর্টধারীদের তদারকিতে আছেন তারা সবাই একসাথে অফিসের কার্যক্রম শুরু  না করায় পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি বেড়েছে। দালাল শ্রেনীর সাথে কোন লেনদেন না করার জন্য পাসপোর্টধারীদের সতর্ক করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়