শিরোনাম
◈ গভীর ঘু‌মে যখন নগরবাসী তখন সংবর্ধনা পে‌লেন আফঈদা-ঋতুপর্ণারা ◈ নারী এশিয়ান কাপে ১১ দলই চূড়ান্ত, ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবাই বাংলাদেশের উপ‌রে ◈ চী‌নে এশিয়া কাপ হ‌কি‌তে বাংলা‌দে‌শের হ্যাটট্রিক জয়  ◈ তিন নম্বর সতর্ক সংকেতে সুন্দরবনের খালে আশ্রয় নিয়েছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার ◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৯ মে, ২০২৪, ০৮:৫৮ সকাল
আপডেট : ১৯ মে, ২০২৪, ০৬:০২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্কুলের টয়লেটে আটকা ছিল শিশু, মুক্ত হলো ৬ ঘন্টা পর 

সাবরীন জেরীন, মাদারীপুর: [২] স্কুল ছুটির পর সকল শিক্ষার্থীরা বাড়ি চলে গেলে বিদ্যালয়ের দপ্তরি শ্রেণিকক্ষ ও বাথরুমের দরজা বন্ধ করে চলে যান। তবে বাথরুমে আটকা পড়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্র রাফিন। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা বাথরুমের দরজা ধাক্কাধাক্কির পর অবশেষে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টায় বের হয়ে সক্ষম হয় ওই শিশু।

[৩] বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

[৪] এলাকাবাসী ও ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাঁচখোলা এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে রাফিন ৯নং পাঁচখোলা বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবারও স্কুলে গিয়ে ছিলেন রাফিন। তখন তাদের পরীক্ষা চলতেছিল। পরীক্ষা শেষে বেলা ১২টার দিকে বিদ্যালয় ছুটির পর রাফিন বাথরুমে যাওয়ার পরে দপ্তরি খোকন খান বাথরুম চেক না করেই বাহির থেকে রশি দিয়ে আটকিয়ে চলে যায়। পরে শিশুটি দরজাটি খোলার জন্য ডাক চিকিৎসার করলেও কোন সাড়া মেলেনি। এ সময় বারবার দরজা খোলার চিৎকার করায় শিশুটির মুখ দিয়ে রক্ত এসে যায়। ছয় ঘন্টা চেষ্টার পর শিশুটি এক পর্যায় বাথরুমের দরজাটি খুলতে সক্ষম হয়।

[৫] এদিকে ছুটির পর শিশুটি বাড়িতে না ফেরায় তার বাড়ির লোকজন বিভিন্ন ছাত্র ও আত্মীয়ের বাড়িতে খুঁজতে থাকেন। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর বিদ্যালয়ের তিনতলা থেকে একটি মুদি দোকানদারকে বিদ্যালয়ের কেচি গেট খোলার জন্য ডাকাডাকির এক পর্যায়ে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকজন মিলে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।

[৬] বাড়িতে গিয়ে শিশুটির সাথে কথা বলতে পারেনি এই প্রতিবেদক। পরিবার থেকে কথা বলার জন্য নিষেধ করা হয়।

[৭] দোকানদার বলেন, বেলা সাড়ে ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাথরুমের আটকা পড়ার পরে কোন মতে দরজা খুলেই তিন তালার বেলকনি থেকে আমাদের ডাক দেয়। পরে আমরা তাকে গিয়ে উদ্ধার করি।

[৮] বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ঐদিন আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। বের হবার আগ পর্যন্ত এমন কিছু আমার নজরে পড়েনি। আমি পরে জানতে পেরেছি। বিষয়টির সাথে কে জড়িতত রয়েছে তা তদন্ত করা হবে।

[৯] মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। যদি এরকম কিছু হয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনহত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়