জাফর ইকবাল: [২] খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, পহেলা মে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেশের উন্নয়ন করতে হলে শ্রমিকদের অধিকার আদায় নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার শ্রমিকদের ভাগ্যোন্নয়নে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে।
[৩] তিনি বুধবার বিকালে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের চত্বরে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা ও মহানগর শাখা আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মালিক-শ্রমিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’।
[৪] মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিকবান্ধব। শ্রমিকের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে জাতীয় শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন এবং এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলেন।
[৫] তিনি বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে শ্রমিকদের উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কোন বিকল্প নেই।
[৬] সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সহসভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, সহসভাপতি নূর ইসলাম বন্দ, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. মোতালেব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষ, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোছলিম উদ্দিন আশা, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. পীর আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম জাফর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
[৭] দিবসটি উপলক্ষ্যে পরে মেয়রের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
এসবি২
