মুযনিবীন নাইম: [২] স্বয়ংক্রিয় দরজা (অটোমেটিক ডোর) এ সমস্যা দেখা দেওয়ায় কারনে উত্তরা-মতিঝিল-উত্তরা রুটে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
[৩] মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সংস্থাটির সূত্র জানায়, শনিবার বেলা তিনটার দিকে পল্লবীতে মেট্রোরেলের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলছিল না। এ জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দরজা খুলছে না এর কারণ খুঁজতে টেকনেশিয়ানেরা কাজ করছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
[৪] ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, মেট্রোরেলে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে পুরো ব্যবস্থা বন্ধ করে এর কারণ খুঁজতে হয়। এরপর ত্রুটি চিহ্নিত করে সমাধান করার পর পুনরায় চালু করলেই মেট্রোরেল চলা শুরু করে না। পুরো ব্যবস্থাটি পুনরায় চালু হতে সময় লাগে।
[৫] মেট্রোরেল চালুর পর প্রায়ই বৈদ্যুতিক কিংবা মেট্রোরেলের কোচে ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। এর জন্য আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মেট্রোরেল বাংলাদেশে প্রথম হওয়ায় এই ব্যবস্থার ত্রুটি দ্রুত চিহ্নিত করে তা সমাধানে সময় বেশি লাগে। এ জন্য এখনো দক্ষ জনবল গড়ে ওঠেনি। এ ছাড়া জনবলের ঘাটতিও আছে। পাশাপাশি মেট্রোরেল পুরোদমে চালুর আগে যে পরিমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, তা করা যায়নি। এ জন্যে টুকটাক সমস্যা হচ্ছে।
[৬] জানা যায়, অটোমেটিক ডোর সিগন্যাল পাচ্ছে না। এ দরজার সিগন্যাল দেওয়া হয় টিও ( ট্রেন অপারেটর) থেকে। এ ছাড়া অটোমেটিক ডোরে আরেকটা সমস্যা হয়েছে। অটোমেটিক দরজায় যাত্রীরা বাধা তৈরি করেছে। যাত্রীরা জোরপূর্বক দরজা টেনে খুলে রেখেছে অনেকক্ষণ। ট্রেন অপারেটর চেষ্টা করেছে বন্ধ করার। কিন্তু সেটা বন্ধ করতে পারেনি। এ কারণে সিগন্যাল লস করেছে। সিগন্যাল না নেওয়াতে দরজাও খুলছে না।
[৭] এদিকে সোয়া এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর ফের চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে মেট্রোরেল চলাচল। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এমএন/কে/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :