মনজুর এ আজিজ: পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, যমুনা সেতু তৈরির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল বিশ্ব ব্যাংক। আর পদ্মা সেতুতে তারা অদ্ভুত একটা কারণ দেখিয়ে পিছুটান দিয়েছিল। এটা কোনো কারিগরি কারণে নয় বরং পুরোপুরি রাজনৈতিক কারণে হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। রোববার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
ড. আইনুন নিশাত বলেন, বিশ্বব্যাংক পিছুটান দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু তৈরির জন্য যে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন, সেটি আজকে শুধু সেতু বিভাগ নয় দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিরাট প্রভাব রেখেছে। বাংলাদেশে যারা অর্থ লব্দি করে, তাদের আমি দাতা বলি না কারণ তারা তো ফ্রি অর্থ দেয় না। ইন্টারেস্টসহ আদায় করে নেয়। তারা প্যারিসে বসে ঠিক করে বাংলাদেশে কি হবে, কোথায় কে কি করবে। এটা বন্ধ হয়েছে। কারণ বাংলাদেশ সরকার এখন বলে দেয় গো টু হেল।
তিনি বলেন, যমুনা সেতু তৈরি করতে না পারলে পদ্মা সেতুর কথা আমরা ভাবতে পারতাম না, যমুনা সেতুর অভিজ্ঞতা নিয়েই পদ্মা সেতুর কাজ হয়েছে। আমরা গত দেড় থেকে দুইশত বছরের হিসেব কষে দেখেছি ১২ বছরের মধ্যে পদ্মা জায়গা পরিবর্তন করে। তবে তা ছয় কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আমরা সেতু নির্মাণ করতে পারতাম তিন কিলোমিটার লম্বা কিন্তু এটা বিপদজনক হতো কারণ নদী এটা মানতো না। তাই আমরা নদীর ওপর পদ্মা সেতু ছয় কিলোমিটার করলাম। আর অ্যাপ্রোসরোডসহ গোটা সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ১৫ দাঁড়ালো।
তিনি বলেন, আমি নদীর ওপর কাজ করেছি, তাই আমরা চেষ্টা করেছি বুঝতে-নদী কি চায়? আর সেটাই পালন করেছি। নেভিগেশন চ্যানেল পরিবর্তন হতে পারে তাই পুরো সেতু জুড়ে ক্লিয়ারেন্স রাখা হয়েছে। সারাবছর ধরে যাতে নৌযান চলাচল করতে পারে তাই বর্ষার সময় পানির উচ্চতা ধরে সেতুর উচ্চতা ঠিক রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :