শিরোনাম
◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ যুক্তরাষ্ট্র স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্পে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিবে ◈ সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে কাঁচাবাজারে দাম কমবে: সাঈদ খোকন ◈ নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজন নিহত

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২৩, ০৩:২৮ দুপুর
আপডেট : ১৩ মে, ২০২৩, ০৩:২৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারে আইকনিক স্টেশনের সাজসজ্জা, সেপ্টেম্বরে পুরোদমে চলবে রেল

হাবিবুর রহমান, কক্সবাজার: দেশের প্রথম আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ কাজ শেষে চলছে সাজসজ্জা। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের ডুলাহাজারা-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণকাজও ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে রেললাইন পুরোপুরি চালু হলে পর্যটনশিল্পে তৈরি হবে নতুন সমীকরণ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী চার'মাস পরে নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এই রেল স্টেশনটি কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

কক্সবাজারের ঝিংলজা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়ায় নির্মাণাধীন ঝিনুক আকৃতির এ আইকনিক রেলস্টেশন প্রকল্পটি ঊনত্রিশ একর জমির ওপর ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৭ বর্গফুটের স্টেশন ভবন। আর স্টেশন ভবনের পশ্চিম পাশে একসঙ্গে নির্মিত হয়েছে পাঁচতলা আরো ২০টি ভবন। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সুবিধার্থে বিশ্বমানের সব ব্যবস্থা থাকছে এ স্টেশনটিতে। 

স্থপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘দিনের বেলা বাড়তি আলো ব্যবহার করতে হবে না এখানে। ওপরের ছাদ খোলা থাকায়, থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। এর আধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই কক্সবাজার রেলস্টেশনকে বলা হচ্ছে গ্রিন স্টেশন। ঝিনুক ও শামুকের গঠনটা যেমন বাইরে থাকে, আর বাকি শরীরের অংশটুকু ভেতরে আবৃত থাকে। কক্সবাজার রেলস্টেশন ডিজাইন করার সময় সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে পুরো রেলস্টেশনটাকে একটা ছাউনি দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা, রেস্টুরেন্ট, ফুড কোর্ট, মাল্টিপারপাস হল, হোটেল থাকবে। সুতরাং এটি শুধু রেলস্টেশন নয়, এটি একটি ডেসটিনেশন। এটা একটি আকর্ষণীয় আর্থ-সামাজিক মডেল।’

প্রকল্প কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্টেশন ভবনে থাকছে বিশাল আকৃতির ঝিনুক। ঝিনুকের পেটে মুক্তার দানা। তার চারপাশে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি। এর মধ্যেই আসবে ট্রেন। ঝকঝকে আধুনিক এ স্টেশন অনেকটা উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরের মতো। আর মূল আকর্ষণ ঝিনুকের ফোয়ারা দৃশ্যমান হবে আগামী মাসে।

কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার মো. আবদুল জাবের মিলন বলেন, ‘যে কেউ আইকনিক স্টেশনে আসলে কাজটি যে শেষের পথে তা বুঝতে পারবেন। এ স্টেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্টিল ক্যানোফি বসানোর যে কাজটি ছিল, তাও শেষ হয়েছে। ফিনিশিং, টাইলস, গ্লাস লাগানো, চলন্ত সিঁড়িসহ সব কাজই আমাদের টার্গেট অনুযায়ী এগিয়ে নিয়েছি। আশা করি, সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইকনিক স্টেশনটি কার্য উপযোগী করে তোলা হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাতে ট্রেন চলাচল করতে পারে, সে জন্যই আইকনিক স্টেশনটি তৈরি করা হচ্ছে।’ 

প্রকল্প (লট-২)-এর মহাব্যবস্থাপক মো. আহমেদ সুফি বলেন, ‘বিদেশিরা যাতে রাতের বেলায় ঢাকা থেকে ট্রেনে উঠে সকালে কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে পৌঁছে সারাদিন সৈকতে ঘুরে আবার ফিরে যেতে পারেন, সেই সুবিধাও থাকছে।’

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়