শিরোনাম
◈ গরুর চামড়া ৮০০, ছাগলের ১০ টাকা ◈ সিলেটে ঈদ আনন্দ ভেসে গেল বন্যার জলে ◈ অর্থনৈতিক সংকটে সিংহভাগ মানুষ কোরবানি দিতে পারেনি: জিএম কাদের ◈ সুপার এইটে স্থান, ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন ◈ ফিলিস্তিনসহ সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ শাসকগোষ্ঠী উল্লাসের ঈদ করছে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে শোকের মাতম: রিজভী  ◈ কারাগারে গরু ও খাসি কোরবানি, বন্দিদের বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা ◈ দেশবাসীকে ভয়ভীতি কোরবানি দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের ◈ এবারের ঈদ দেশের মানুষের কাছে একটা কষ্টের দিন: মির্জা ফখরুল ◈ ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৪, ০১:২৬ দুপুর
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৪, ০১:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একটি সেতুর অভাবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষের দূর্ভোগ

খাদেমুল বাবুল, জামালপুর: [২] জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় বাঙ্গাল পাড়া খালের সেতুটি ভেঙে যায়। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর পার হলেও ওই খালের উপর কোন সেতু নির্মাণ হয়নি। ফলে খাল পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ। 

[৩] স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে বন্যায় সেতু ভেঙে গেলেও এখনও সেখানে নতুন কোন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে শত শত যানবাহন ও হাজার পথচারীকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা সদরে পৌঁছতে হয়। এতে তাদের অর্থ ও সময়ের অপচয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত। 

[৪] এলাকাবাসীর দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঙ্গালী পাড়া খালের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। 

[৫] বকশীগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, বাঙ্গালপাড়া খালের ওপর ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু ছিল। সেতুটির পশ্চিম পাশের বাঙ্গালপাড়া, গাজীরপাড়া, চর গাজীরপাড়া, কতুবেরচর ও দপরপাড়া গ্রামসহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসাই ছিল সেতু। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যার পানির তোড়ে পুরো সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। অদৃশ্য হয়ে যায় সেতুটির স্ট্রাকচার। 

[৬] সরেজমিনে দেখা যায়, খালের পানি কমলেও সেতুর কোনো চিহ্ন নেই। সেতুর দক্ষিণ পাশ দিয়ে লোকজন পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন। তবে এই পথে এখন আর কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। বর্ষা মৌসুমে ছোট নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হতে হয় তাদের।

[৭] স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন ছেলে-মেয়ে জানান, শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে এবং বর্ষায় নৌকায় চলাচল করেন এলাকার মানুষ। যানবাহন চলাচল না করায় চরম ভোগান্তিতে আছি আমরা।

[৮] কৃষক হাফেজ আলী বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাট-বাজারে কৃষি পণ্য আনা-নেওয়া, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ পথচারী ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।

[৯] স্থানী পল্লিচিকিৎসক নজরুল ইসলাম বলেন, সেতু থাকাকালীন মাত্র ১০ মিনিটে সেতুটি পার হয়ে উপজেলা সদরে যাওয়া যেত। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন পথ ঘুরে উপজেলা সদরে যেতে হয়। এতে আমাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

[১০] সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, বাঙ্গালপাড়া খালের ওপর নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্যে স্থানীয় প্রশাসনকে বার বার জানিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তিনি বলেন, মানবিক কারণে হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে সেখানে একটি সেতু নির্মাণ প্রয়োজন। 

[১১] উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বাঙ্গালপাড়া খালের ওপর জরুরি ভিত্তিতে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। সেতুর অভাবে সেখানকার লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। সেতু নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছিলাম। এখন তো আমি চলে যাবো। নতুন যারা এসেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ থাকলো।

[১২] স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো.শামছুল হক বলেন, ওই খালের ওপর নতুন একটি সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। আশা করি শিগগিরই সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে।

[১৩] জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ বলেন, লোকজনের যাতায়াতের ভোগান্তি লাগবে বাঙ্গালপাড়া খালের ওপর নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়