এম এম লিংকন: [২] এর মধ্যে ১৪০ টি বাস ঢাকায় এবং অন্য বাসগুলো বিভিন্ন জেলায় চলবে বলে আমাদেরসময় ডটকমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।
[৩] বাসগুলো মেরামতের জন্য প্রায় ১৫ শতাংশ যন্ত্রাংশও আনা হবে কোরিয়া থেকে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এ প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩০৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং কোরিয়া থেকে ঋণ পাওয়া যাবে ৮২৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
[৪] দীর্ঘ সময় লসে থাকা বিআরটিসিকে ধারাবহিকভাবে লাভের মুখ দেখানো চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দক্ষ ড্রাইভার তৈরির পর আমরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে দিই। ড্রাইভার নিয়োগ দিতে আমার তিনটি টেস্ট নিই। এই তিনটি টেস্ট সম্পূর্ণরূপে উত্তীর্ণ হলে তাকে ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিআরটিসির এ সব ড্রাইভারদের অনুসরণ করবে প্রাইভেট সেক্টরের ড্রাইভাররা। বর্তমানে ২৫০ জন ড্রাইভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
[৫] তিনি জানান, শুধু ড্রাইভার নয়, বিআরটিসিতে দক্ষ কারিগরও তৈরি হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে বিআরটিসির ওয়ার্কশপগুলোকে দেশের সেরা ওয়ার্কশপ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যাশা করছেন তাজুল ইসলাম। তবে, শুধু মানের দিকে নয়, যাত্রী সেবাতেও শীর্ষস্থানে বিআরটিসিকে দেখার প্রত্যাশা করছেন তিনি।
[৬] তিনি বলেন, যেখানেই সংকট সেখানেই বিআরটিসি সেবা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়া হয় যোগ করেন তিনি। এছাড়া ঈদে স্পেশাল বাস দেওয়া, বাণিজ্য মেলায় বাস সার্ভিস থেকে শুরু করে কোভিডকালীন সময়ে যখন কেউ এগিয়ে আসে নি তখনও বিআরটিসি যাত্রীদের পাশে থেকেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
[৭] এ সময় বিআরটিসির তেজগাঁও ট্রেনিং সেন্টারের কয়েকটি মানসম্পূর্ণ ওয়ার্কশপ ও অত্যাধুনিক ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার সরেজমিন চিত্র এই প্রতিবেদককে ঘুরে দেখিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, এ সব স্থানে আগে পানি জমে থাকতো এবং আশেপাশের পরিবেশ ন্যুংরা হয়েছিল। বর্তমানে ড্রাইভারদের এই ট্রেনিং সেন্টারকে অনেকেই হেলিপ্যাড বলে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এমএমএল/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :