সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর হাসপাতাল কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা দালালচক্র নির্মূলে অভিযানে নেমেছে র্যাব। এ লক্ষ্যে বুধবার শেরেবাংলা নগর এলাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, হৃদরোগ হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ৩৮ জনকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন র্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
[৩] সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিচালিত এই আদালতের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু হাসান ও মো. মাজহারুল ইসলাম।
[৪] ভ্র্যাম্যাণ আদালতের অভিযান শেষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্রিফিংয়ে র্যাব ২-এর উপ অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ নাজমুল্লাহেল ওয়াদুদ বলেন, র্যাব দেশজুড়ে অনিয়ম রোধে কাজ করে যাচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় চারটি হাসপাতালে র্যাব-২ এর পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। আমরা জানতে পেরেছি, রোগীরা যখন হাসপাতালে প্রবেশ করেন তখন দালালরা তাদের টার্গেট করেন এবং পিছু নেন। এরপর রোগীদের বোঝানো হয় এখানে ভালো ডাক্তার নেই, চিকিৎসা নেই। এসব বলে তাদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[৫] তিনি বলেন, রোগীরা যখন ডাক্তার দেখিয়ে চেম্বার থেকে বের হন তখন এই দালালরা জোর করে প্রেসক্রিপশনটা নিয়ে তার ছবি তোলেন। এসবের ভিডিও ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। দালালরা দেখে যে ডাক্তাররা তাদের টার্গেট দেওয়া ওষুধ লিখেছেন কি না। এ ছাড়া তারা রোগীদের বাইরে যেসব ডাক্তারদের কাছে নিয়ে যান তাতে বিভিন্ন সময়ে ভুল চিকিৎসার ফলে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে। আমরা চাই প্রাইভেট হাসপাতালের এসব দৌরাত্ম্য বন্ধ হোক এবং সরকারি হাসপাতালের যে এজেন্ডা তা বাস্তবায়ন হোক।
[৬] তিনি আরও বলেন, অভিযানকালে হৃদ্রোগ হাসপাতাল থেকে ১১ জন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে ১৮ জন, শিশু হাসপাতাল থেকে ৪ জন ও পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ৫ জন দালালকে আটক করা হয়েছে। তাদের ইতোমধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
[৭] হাসপাতাল কেন্দ্রিক দালালচক্র নির্মূলে এদিন বেলা ১১টার দিকে অভিযানে নামে র্যাব-২ এর একাধিক দল। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসকে/এসসি/এসবি২