শিরোনাম
◈ খান ইউনুসে চলছে প্রচণ্ড লড়াই : আটকা পড়েছে প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি ◈ দেশের ৮ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা ◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৭:৩৫ বিকাল
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০২:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্রেপ্তার ২ চিকিৎসককে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

রাজধানীতে খৎনা করাতে গিয়ে আবারও শিশুর মৃত্যু, জেএস ডায়াগনস্টিক সিলগালা 

মুযনিবীন নাইম: [২] রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় আবুল হোটেল সংলগ্ন জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন- ডা. এস এম মুক্তাদির ও ডা. মাহবুব।

[৩] মৃত শিশু মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। তার বাবা ফখরুল আবাসন নির্মাণ ব্যবসায়ী। তিনি পরিবার নিয়ে খিলগাঁও রেলগেট-সংলগ্ন একটি বাড়িতে থাকেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আহনাফ ছিল বড়।

[৪] বুধবার সকালে শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।

[৫] হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুই চিকিৎসককে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেলগেটে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। 

[৬] শিক্ষার্থী আহনাফের মৃত্যুর পর বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারটি সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

[৭] অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিশু আহনাফের মৃত্যুর ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। মঙ্গলবার সামান্য একটা মুসলমানির জন্য শিশুটিকে এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ অনুসারে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার সময় শিশুটিকে অজ্ঞান করার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। পরে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা মারা হয়েছে। 

[৮] তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির হাসপাতাল কার্যক্রম চালানোর কোনো অনুমোদন ছিল না, তবে তাদের ডায়াগনস্টিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং তারা যদি কোনো রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে থাকে, সেটি অন্যায় করেছে। আমরা আরও তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব। আর যিনি অপারেশন করেছেন, তার বিরুদ্ধে আমরা আমাদের আইনানুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[৯] এর আগে মঙ্গলবার রাতে জে এস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে আহনাফকে সুন্নতে খৎনা করাতে নিয়ে যায় পরিবার। রাত আটটার দিকে খৎনা করাতে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর আহনাফের জ্ঞান ফিরে নি। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

[১০] স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয় আহনাফকে। যে কারণে তার জ্ঞান ফেরেনি।

[১১] মৃত শিশুর বাবা ফখরুল বলেন, আগে তিনি সপরিবার ডেনমার্কে থাকতেন। সেখানে তার বড় ছেলে আহনাফের জন্ম হয়। পরে তিনি পরিবার নিয়ে দেশে ফিরেন। ছেলেকে হারিয়ে এখন তারা পাগলপ্রায়। 

[১২] তিনি বলেন, আমার সুস্থ সন্তানকে মেরে ফেলা হলো। আমি চিকিৎসক মোক্তাদির ও ইশতিয়াককে পা ধরে বলেছি, ছেলেকে পূর্ণ অ্যানেসথেসিয়া দিয়েন না। কিন্তু তারা আমার কথা শোনেননি। আমার সোনার টুকরা ছেলেটাকে তারা শেষ করে দিল। আমি চাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। সম্পাদনা: ইকবাল খান

এমএন/আইকে/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়