তারিক আল বান্না: [২] পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী এবং সাপ্তাহিক দুইদিনের ছুটি মিলিয়ে মোট তিনদিনের ছুটিতে গেছে দেশ। এতে যেন নগরের ব্যস্ততম জীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে। টানা তিনদিনের ছুটি কাজে লাগিয়ে রাজধানী ছেড়েছেন অনেক মানুষ। কেউ গেছেন গ্রামের বাড়িতে আবার কেউবা পরিবার নিয়ে বেড়াতে গেছেন কোনো পর্যটন এলাকায়। সূত্র: ঢাকাপোস্ট
[৩] এর ফলে রাজধানীর সড়কে কমেছে মানুষের চাপ। এতে করে সড়কে চিরচেনা যানজট ও কোলাহলের চিত্রে কিছুটা ভিন্নতা দেখা গেছে।
[৪] বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে নেই কোনো যানজট। গণপরিবহনে ওঠার জন্য নেই কোনো হুড়াহুড়ি-ঠেলাঠেলি। সবমিলিয়ে টানা ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর রাজপথ।
[৫] কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা, শান্তিনগর ও পল্টন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার রাজপথে যানবাহন ও যাত্রীদের উপস্থিত খুবই কম। সাধারণত বৃহস্পতিবারে ঢাকার রাস্তাঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের প্রচুর চাপ থাকে। কিন্তু সেই চিত্র নেই। রাস্তায় হাতে গোনা কয়েকটি গণপরিবহন চলছে, এসব বাসেও খুব বেশি যাত্রী নেই। অন্যদিকে, রাস্তায় কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চলাচল রয়েছে।
[৬] যাত্রীরা বলছেন, টানা ছুটিতে রাস্তা প্রায় ঈদের ছুটির মতো ফাঁকা রয়েছে। এক ঘণ্টার রাস্তা এখন ১০-১৫ মিনিটেই ভ্রমণ করা যাচ্ছে।
[৭] এদিকে, ফাঁকা রাস্তায় রিকশায় চড়ে বেড়াতে বের হয়েছেন অনেকে। তাদের উদ্দেশ্য হলো, দুপুর হওয়ার আগেই শপিং মল, সিনেমা হল কিংবা অন্য কোনো স্থানে যাওয়া।
[৮] টানা ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকার ব্যাপারে গণপরিবহনের চালকরা বলছেন, বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারেও রাস্তার অবস্থা একই থাকবে। শনিবারে অনেক বেসরকারি অফিস খুললে তখন যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। সম্পাদনা: রাশিদ